জমে উঠেছে সাস্টক্লাবের নির্বাচন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৪ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘সাস্ট ক্লাব লিমিটেডের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৯ জুলাই। আর এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে প্রচার প্রচারণা।
কার্যনির্বাহী পরিষদের এই নির্বাচনে ১১টি পদের বিপরীতে মোট ২৩ জন সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।এর মধ্যে সভাপতি পদে ২ জন, সহ-সভাপতি পদে ২ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন, যুগ্ম-সম্পাদক পদে ২ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন এবং সদস্য পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা ইতোমধ্যেই সর্বত্র নিজেদেরে পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। প্রার্থীদেরকে সমর্থন করে অনেকেই অনলাইনে ও ব্যক্তিগতভাবে নিজ নিজ প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।
এদিকে শীর্ষ পদগুলোর প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শীর্ষে পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ প্রার্থীই একসময় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অনেকে ক্যম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের শীর্ষ পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন কামরুল ইসলাম। যিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ৯৩-৯৪ সালের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ শাকসু’তে ছাত্রদলের মনোনয়নে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। অপর প্রার্থী সঞ্জিত বণিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৯৫-৯৬ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৩ জনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এই পদের প্রার্থী মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান চৌধুরী রিন্টু ৯৫-৯৬ সালের ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে সহ-সম্পাদক ছিলেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহবুবুর রহমান দিপু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং অপর প্রার্থী মোস্তাফা মনোয়ার সুজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও সে সময় ছাত্রলীগের কোন কমিটি না হওয়ার কারণে তিনি কোন পদ পাননি।
এছাড়াও, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন আশরাফ হোসেন আখন্দ ও ব্যারিস্টার কাইছার তালুকদার। যুগ্ম সম্পাদক পদে শাহ মো. হামজা আনোয়ার ও আফজাল হোসেন আখন্দ রনি; কোষাধ্যক্ষ পদে খলিলুর রহমান সোহেল ও কাজী গোলাম কদর স্বপন এবং সদস্য পদে মো. মাসুদুর রহমান, নুরে আলম মিল্টন, এইচ এম মামুন, সাঈদ আবদুল্লাহ যীশু, ফাতেমা জেরিন ফারহানা, সমসের রাসেল, মাহমুদ ফারুক মনির, মোহাম্মদ আফরিন খান নবেল, বরকত উল্লাহ, মোশাররফ হোসেন পলাশ, রুম্মন হাসনাত ও নুরে আলম সিদ্দিকী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ভোটার জানান, নির্বাচনে ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তিবর্গ অংশ নিতেই পারেন। তবে আমরা প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি সম্পর্কে সচেতন আছি।
এনএম/কেআই