জনবল সংকটে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২১ এএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার
জনবল সংকটের কারণে বাড়ি গিয়ে জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পৌছে দেয়াসহ পরিবার পরিকল্পনার নানা কর্মসূচী এখন শুধু কাগজে-কলমে। যদিও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের দাবী, সরাসরি জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা ও পরামর্শের কার্যকারিতা বেশি হলেও প্রযুক্তির সহায়তায় এখনও সেগুলো চালু রাখা হয়েছে। এ বাস্তবতায় সারাবিশ্বের মতই পালিত হচ্ছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।
পরিবার পরিকল্পনার তথ্য ও সেবার চাহিদা, মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু এবং নারী যৌন হয়রাণী- এই তিনটি শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনাই, জনসংখ্যা ও উন্নয়নের কায়রো সম্মেলন বা আইসিপিডি’র মূল লক্ষ্য ছিল।
এর পর পেরিয়ে গেছে ২৫ টি বছর। এবারো একই দিনে পালিত হচ্ছে, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য, ”আইসিপিডি’র ২৫ বছর; প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন”
মূল্যায়নের পরিসংখ্যানের খাতায়, বর্তমান চিত্র মোটেও আশা জাগায় না। সামগ্রিক প্রজনন হার বা টিএফআর কমে আসলেও নির্দিষ্ট বয়সভিত্তিক প্রজনন হার অনেক উচ্চ। বিশেষ করে, ১৫ থেকে ১৯ বছরের কিশোরী মাতৃত্বের হার বেশি। কমেনি বাল্য বিবাহ। যা এখনও ৬৯ ভাগ। এদের মধ্যে গর্ভধারণ ও মাতৃমৃত্যুর হারও বেশি।
জন্ম নিরোধক ব্যবহারের হার বাড়ছে না। ৭২ ভাগে পৌছানোর কথা থাকলেও আটকে আছে, ৬২ ভাগে। এমনকি, অধিকার ও প্রজনন স্বাস্থ্যে এখনও লিঙ্গ বৈষম্য বিরাজমান। ৮০ শতাংশ নতুন দম্পতির কাছে মাঠ কর্মীরা যায় না।
এই যখন বাস্তবতা, তখন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের জনপ্রিয় কর্মসূচীটি ঝিমিয়ে পড়েছে, জনবল সংকটে। মোট জনবলের প্রায় এক পঞ্চমাংশ পদ খালি। ফলে, দম্পতিরা মানসম্মত সেবা পাচ্ছে না।
তবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দাবী, ভিন্নভাবে প্রযুক্তি ও সম্প্রচার মাধ্যমে এই কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
এর বাইরেও কল সেন্টার ‘সুখী পরিবার’ নামে-ওয়ান-সিক্স-সেভেন-সিক্স-সেভেন’ নম্বরে তথ্য সেবা চালু আছে। তবে, এই নম্বরই বা কয় জন জানে-আর ক জনই বা এ থেকে তথ্য সেবা নেয়?