ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মুমিনুল-শান্তর শতকে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৮ পিএম, ১১ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

টাইগার লিটল মাস্টার মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্তর অনবদ্য শতকে ভারতের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। এ দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি জহুরুল ও আরিফুলের অর্ধশতকে বোর্ডে ৫০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে বিসিবি একাদশ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৯ রানের ইনিংস এসেছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। এছাড়া শতক হাঁকানো আরেক ব্যাটসম্যান শান্ত খেলেছেন ১১৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। মাত্র চার রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত জহুরুলের ইনিংসের পাশাপাশি আরিফুলের ব্যাট থেকেও এসেছে মূল্যবান ৭৭ রান।

প্রথম দিনের ২ উইকেটে করা ৩০৩ রানের সঙ্গে আজ দ্বিতীয় দিনে ৪ উইকেটের বিনিময়ে আরও ১৯৭ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করেছে বিসিবি একাদশ। ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি নিয়ে খেলতে নামা প্রিন্স অব কক্সবাজার খ্যাত মুমিনুলের স্বপ্নভঙ্গ হয় ইনিংসের ১০০তম ওভারে। দর্শন নালকান্দের বলে অক্ষয় ওয়াদকারের হাতে ক্যাচ দিলে থামে তার ওই অনবদ্য ইনিংস। ফলে দলীয় ৩৩৯ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে সফরকারীদের।

সাজঘরে ফেরার আগে ১৬৯ রানের ইনিংসটি ২২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান টাইগার লিটল মাস্টার। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তবে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি তিনি। মাত্র ৫ বল মোকাবেলায় ২ চারে ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনিও। তাকেও ফেরান নালকান্দে। এর ফলে দলীয় ৩৪৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ।

এর কিছুক্ষণ পর একই পরিণতি হয় নুরুল হাসান সোহানেরও। ১০ বলে ২ রান করে আদিত্যের বলে লেগ-বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। আর এরইসঙ্গে মুহূর্তেই টাইগারদের স্কোর হয়ে যায় ৩৫৪ রানে ৫ উইকেট।

এমন পরিস্থিতিতে শান্তর সাথে ক্রিজে যোগ দেন আরিফুল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ১২৬ রান যোগ করে বিপর্যয় সামাল দেন এ দু’জন। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেন দলের বড় সংগ্রহ। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান্ত ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত ১১৮ রানে নালকান্দের বলে আউট হলে ভাঙ্গে এ জুটি।

তরুণ এ ব্যাটসম্যানের আউটের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরিফুলও। সমান ৫ চার ও ছক্কায় ৭৭ রান করা এ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন গুরবানি। তার ফিরে যাওয়ার পর স্কোরবোর্ডে ৫০০ রান যোগ হতেই ইনিংস ঘোষণা করে চা পানের বিরতিতে যায় সফরকারীরা।

প্রতিপক্ষ শিবিরের বোলারদের মধ্যে ৭৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট লাভ করেন নালকান্দে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-দ্বিতীয় দিন:
বিসিবি একাদশ:
প্রথম ইনিংসে ১৪৮ ওভারে ৫০০/৭ ডিক্লেয়ার্ড। জহুরুল ৯৬ (২০২), সাইফ ১৯ (৫০), মুমিনুল ১৬৯ (২৪৩), শান্ত ১১৮ (২৪৩), ইয়াসির ৮ (৫), সোহান ২ (১০), আরিফুল ৭৭ (১৪২), নাঈম ১* (১২), তাইজুল ২* (৭)।

এনএস/আরকে