ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ
প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ১২:০৫ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৬ শনিবার
ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের এ দিন মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারায় উপকূলের লাখো মানুষ। লন্ডভন্ড হয়ে যায় সাজানো সংসার, বাড়িঘর, জমির ফসল। প্রলয়ংকরী সেদিনের স্মৃতিতে আজো শিহরিত হন ক্ষতিগ্রস্তরা। তাদের দাবি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর আরো উন্নয়নের।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর। মধ্যরাতে ঘুর্নিঝড় আঘাত হানে উপকূলে। প্রায় ১০ ফুট উচু জলোচ্ছ্বাসে বিরান ভূমিতে পরিণত হয় বিস্তির্ণ জনপদ।
ভোলার বেশির ভাগ অংশই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মনপুরা, চর কুকরী-মুকরী আর ঢালচরসহ ছোট ছোট দ্বীপচরে তখন মানুষ আর গবাদি পশুর মৃতদেহের স্তুপ।
লক্ষ্মীপুরের চরাঞ্চল পুরোই তলিয়ে যায়। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বেতারে মহাবিপদ সংকেত জানতে পারেনি অনেকে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস প্রাণ কেড়ে নেয়ে অনেকের।
স্বজন হারনো নোয়াখালীর প্রবীণ বয়সীদের মাঝে সেই ভয়াল দূর্যোগের দুসহস্মৃতি আজো স্পষ্ট। তারা জানালেন, তীব্র স্রোতে হারিয়ে যায় অনেকে। পরদিন চারিদিকে শুধু মৃত্যু, শুধু লাশ আর লাশ।
নদীতে ভেসে ওঠা, গাছের সাথে ঝুলে থাকা মৃতদেহের সন্ধান মেলে কয়েকদিন পরও ।
সেই ভায়ল রাতের প্রায় ৪ যুগ পর উপক’লীয় জেলাগুলোতে জনসংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুন। কিন্তু সে অনুপাতে গড়ে উঠেনি আশ্রয় কেন্দ্র। তাই সময় উপযোগি আরো অশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবি উপকূলবাসীর।