চরিত্রাভিনেতা ছবি বিশ্বাসের জন্মদিন আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৪২ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৯:৪২ এএম, ১৩ জুলাই ২০১৯ শনিবার
বাংলা চলচ্চিত্রের বিখ্যাত চরিত্রাভিনেতা ছবি বিশ্বাস। ১৯০০ সালের ১৩ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে তার প্রথম আত্মপ্রকাশ।
ছবি বিশ্বাস ছিলেন সম্ভ্রান্ত জমিদার বংশের ছেলে। জমিদারি গেলেও তার মেজাজটা তাকে কোনও দিন ছেড়ে যায়নি। তিনি ছিলেন ‘লাস্ট অফ দ্য অ্যারিস্টোক্রাটস’— তা কী অভিনয়ে, কী পারিবারিক চালচলনে। ছবি বিশ্বাস মূলত সাহেবি এবং রাশভারি ব্যক্তিত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতিলাভ করেন। তিনি তার জীবদ্দশাতেই নিছকই এক চরিত্রাভিনেতা থেকে একটি বিশিষ্ট রূপকল্পে পরিণত হয়ে ছিলেন। যে কোনও চরিত্র রূপায়ণে তিনি ছিলেন স্বাভাবিক অভিনয় প্রয়াসী অভিনেতা। ছবি বিশ্বাস বললেই একটি বিশেষ উচ্চতা, জলদগম্ভীর স্বর, একটি চাহনি, পদক্ষেপের বিশিষ্ট ধরন দর্শকের মানসপটে ভেসে ওঠে।
তার অভিনীত কয়েকটি স্মরণীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম ‘চোখের বালি’, ‘কাবুলিওয়ালা’, ‘শুভদা’, ‘প্রতিশ্রুতি’, ‘জলসাগর’, ‘দেবী’, ‘সবার উপরে’, ‘কাঞ্চন-জঙ্ঘা’, ‘হেডমাস্টার’ ইত্যাদি।
১৯৩০ থেকে ১৯৬০-এর দশকজুড়ে তিনি একটানা বহু বাংলা চলচ্চিত্রে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অভিনয় করে যান এবং ব্যাপক দর্শকনন্দিত হন।
তিনি নাট্যাভিনেতাও ছিলেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর অন্যতম ‘সমাজ’, ‘ধাত্রী পান্না’, ‘মীর কাসিম’, ‘দুই পুরুষ’, ‘বিজয়া’ ইত্যাদি।
ছবি বিশ্বাস কয়েকটি চলচ্চিত্র পরিচালনাও করেন। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিকার (১৯৪৪) ও যার যেথা ঘর (১৯৪৯)।
১৯৫৯ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কার’ লাভ করেন।
বাংলা সিনেমার প্রতিষ্ঠালগ্নের শক্তিমান এই অভিনেতা ১৯৬২ সালের ১১ জুন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
এসএ/