মানুষের ভাগ্যোন্নয়নেই আওয়ামী লীগের জন্ম: শেখ হাসিনা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯ শনিবার
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের প্রতিটি অধিকার আদায়ে নেতৃত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু এদেশের মানুষের, কৃষকের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে একমাত্র আওয়ামী লীগই পেরেছে। অন্যান্য দল থেকে এ দলের পার্থক্য এখানেই। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নেই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে।
শনিবার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদনা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই বিধ্বস্ত একটি দেশকে নয় মাসের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় করেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি আনেন।
বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সবসময় নিজেদের সংস্কার করেছে। তাই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি আমরা।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে যারা একদিনে হঠাৎ করে ক্ষমতায় এসেছে তারা দেশের নয়, নিজেদের উন্নয়নে কাজ করেছে। ফলে এ দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে এর থেকে কোনো উন্নতি করতে পারেনি। যতোটুকু করতো তার চেয়ে বেশি দেখানো হত। আজ দেশে ২২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যার সম্পূর্ণ করেছে আওয়ামী লীগ।
দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার বিকল্প নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে একক কোন পরিকল্পনা দিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এজন্য সরকার বহুমুখী পরিকল্পনার কথা অনেক আগে থেকে করে আসছে। সে অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।
কর্ম পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ফলে কাজের পরিধি ও জবাবদিহিতা বাড়বে। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হওয়া যাবে। এর ফলে, দেশের সর্বোচ্চ বিভাগ থেকে একেবারে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত সবকিছু হিসাবের মধ্যে থাকবে। এতে কাজের দক্ষতা ও গতিশীলতা বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে আমরা আগে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়নও করেছি। এবার আমরা সপ্তমবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, আশা করি লক্ষ্যস্থানে পৌঁছতে পারব।
বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া ৭ প্রবৃদ্ধি থেকে আমরা ৮ দশমিক ১ উন্নীত হয়েছি, অল্প সময়ে ৮ দশমিক ২ পৌঁছাবো। প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি কাঙ্খিত এসডিজিও অর্জন করবো আমরা।
দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সব উন্নয়ন ভেস্তে যাবে, যদি আমরা দুর্নীতি রুখতে না পারি। যারা অর্থ নিচ্ছেন এবং দিচ্ছেন উভয়েই সমান অপরাধ করছেন।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমন জিরো টরারেন্স নীতি আমরা পালন করছি, দুর্নীতির বিরুদ্ধেও একইভাবে সোচ্চার বর্তমান সরকার। এমনকি দুর্নীতির সঙ্গে দলের কারো সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আই/