আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের জন্মদিন
শিল্পকলায় ‘মেরাজ ফকিরের মা’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৯ শনিবার
অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, চলচ্চিত্র পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের ৭৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৪২ সালের ১৩ জুলাই জামালপুরে আমড়া পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস এবং মাতা ফাতেমা খাতুন। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে এম এ পাস করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন তার পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমী (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অসংখ্য নাটক রচনায় যেমন নিজের প্রতিভা আর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, তেমনি নিজের অপরিমেয় ক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন তার নির্দেশনায় ও অভিনয়েও৷ তার রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘সুবচন নির্বাসনে’, ‘এখন দুঃসময়’, ‘সেনাপতি’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘কোকিলারা’, ‘দ্যাশের মানুষ’, ‘মেহেরজান আরেকবার’ ও ‘মেরাজ ফকিরের মা’ ইত্যাদি।
তার জন্মদিন উদযাপনে শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে জন্মজয়ন্তীর আয়োজন করা হয়। যৌথভাবে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি ও শীর্ষস্থানীয় নাটকের দল থিয়েটার। আয়োজনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠানের প্রথম দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ-আল-মামুন রচিত ও নির্দেশিত ‘মেরাজ ফকিরের মা’ নাটকটির ১৯৮ ও ১৯৯তম প্রদর্শনীর মঞ্চায়ন করে থিয়েটার।
ধর্মীয় অনুভূতির সঙ্গে মানবিকতার দ্বন্দ্ব নিয়ে বিন্যস্ত ‘মেরাজ ফকিরের মা’ নাটকের কাহিনী। জন্মের ৩৯ বছর পর আকস্মিকভাবে মেরাজ ফকির জানতে পারে তার গর্ভধারিণী মায়ের ধর্ম আর তার ধর্ম এক নয়। ধর্ম পরিচয়ে যে ব্যবধান রচিত হয় তা কি মা-ছেলের সম্পর্কের মাঝে ফাটল ধরাতে পারে? ধর্মের ভিন্নতার কারণে ছেলে কি অস্বীকার করতে পারে তার মাকে? মানবিক সম্পর্ক আর বাহ্যিক আচার সর্বস্ব সম্পর্ক-দুইয়ের মধ্যে কোনোটির সঙ্গে নাড়িছেঁড়া টান রয়েছে? এমন সব ঘটনা নিয়ে এগিয়ে যায় নাটকটির গল্প। নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, ত্রপা মজুমদার, মজিবর রহমান জুয়েল, তানজুম আরা পল্লী, মারুফ কবির, সাইফ জোয়ারদার, আবদুল কাদের, তোফা হোসেন প্রমুখ।
জন্মোৎসব শেষ দিন আজ শনিবার বিকালে একাডেমির সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত হয় ‘বর্তমান প্রেক্ষিতে নাট্য প্রযোজনা ও অভিনয়’ শীর্ষক আব্দুল্লাহ-আল-মামুন স্মারক বক্তৃতানুষ্ঠান। এতে বক্তৃতা করেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ।
এরপর সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ‘মেরাজ ফকিরের মা’ নাটকের ২০০তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে। ২০০তম প্রদর্শনী ও আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের ৭৭তম জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখতে নাটকটিতে একটানা অভিনয়ের জন্য নাটকটির অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার ও মারুফ কবিরকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হবে।
এসএ/