ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আজ হুমায়ূন আহমেদের ৬৮তম জন্মদিন

প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৬ রবিবার

নন্দিত কথা সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৬৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের এইদিনে নেত্রকোনার কুতুবপুরে জন্ম তিনি। ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীদের কাঁদিয়ে ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেলেও কালজয়ী সৃষ্টির মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে আছেন, থাকবেন কোটি ভক্তের হৃদয়ে। প্রিয় মানুষটির জন্মদিনে এখনো তার স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান স্বজনরা। ”পাখি উড়ে গেলেও পালক ফেলে যায় আর মানুষ চলে গেলে ফেলে রেখে যায় স্মৃতি” লেখকের উক্তিটির মতই চলে গেছে সবার প্রিয় হুমায়ূন। কিন্তু রেখে গেছেন মিছির আলি, হিমু, রুপা  কিংবা শুভ্রর মত কালজয়ী চরিত্র। এসব চরিত্রের মাঝে সাহিত্যপাগল মানুষ তাকে খুঁজে ফিরবে যুগযুগ। বাবার চাকুরী সূত্রে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস ও লেখাপড়ার সুযোগ হয় গুনী এই লেখকের। বগুড়া জেলা স্কুল থেকে ম্যট্রিক, ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে  স্নাতক ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পলিমার রসায়নে পিএইচডি করেন। প্রথমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মজীবন শুরু হলেও পরে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যদিও লেখালেখি আর সৃষ্টির টানে শিক্ষকতার জীবন তার খুব একটি দীর্ঘ হয়নি। সাহিত্য চর্চার দীর্ঘ সময়ে বাংলা সাহিত্যকে হুমায়ুন উপহার দিয়েছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, মেঘের উপর বাড়ীর মত জনপ্রিয় অসংখ্য উপন্যাস। নির্মাণ করেছেন শ্রাবন মেঘের দিন, আগুনের পরশমনি ও দুই দুয়ারীর মত বেশ কিছু চলচ্চিত্র। জন্মের এইদিনে হুমায়ূনের স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ান স্বজনরা। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গবেষণার জন্য স্মৃতি যাদুঘর নির্মাণ করার কথা জানান তার ছোট ভাই আহসান হাবিব। হুমায়ূন আহমেদ কোন কালের বা গোত্রে সীমাবদ্ধ নয়। আপন সৃষ্টি দিয়ে বেঁচে থাকবেন, ভক্তদের মাঝে।