বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস চায় রাবি শিক্ষার্থীরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৬:২২ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস ও সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ছাইদুর ওপর ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বহিরাগত কতৃক ছুরিকাঘাত ও ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ২য় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পড়াশোনা করতে এসেছি, কিন্তু আমরা ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকি।
নিরাপত্তার জন্য পুলিশ নিয়োজিত থাকলেও আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপদ নই। সন্ধ্যা হলেই ছিনতাইকারীদের আক্রমণের স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মেগা প্লান করা হচ্ছে কিন্তু নিরাপত্তা জন্য কিছুই করা হচ্ছেনা । আমরা মেগা প্লান চাইনা আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই । দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা নজির নেই। দিনদিন ক্যাম্পাসে স্থানীয়দের প্রভাব বেড়েই চলছে। আমরা বহিরা মুক্ত ক্যাম্পাস চাই।
ছাইদুরের উপর ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করেছে তার অনেক বড় ক্ষতি হতে পারত। ছিনতাইকারীরা নেশা করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমন চালিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। শিক্ষার্থীরা যদি নিরাপত্তা না পাই তার জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে।
মানববন্ধনে প্রশাসন কাছে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করাসহ যারা ছিনতাই করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যদে মধ্যে বক্তব্য দেন, ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাজীব, রিপন ইসলাম, শিমুল সরকার,মোস্তাফিজুর রহমান, ৩য় বর্ষের মাজাহারুল ইসলাম, দর্শন বিভাগের তাকবীর হোসেন সহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মাদার বখশ হলের কাছে ছাইদুর রহমান সাজুকে তিনজন ছিনতাইকারী ঘাড়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে তিন হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে পরে থাকতে দেখে কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
এমএইচ/এসি