ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

আস্থার সংকটে পুঁজিবাজার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১২ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার

দেশের দুই পুঁজিবাজারে চলছে অব্যাহত দরপতন। চলতি জুলাই মাসের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ সাত কর্মদিবসে টানা দরপতন হয়েছে। 

শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় শেয়ারবাজারে স্বাভাবিকভাবে দরপতন হওয়ার যুক্তিসংগত কোনো কারণ নেই। তবে বাজারে অব্যাহত দরপতন দেখা যাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা সংকট বিরাজ করছে এবং বাজারে তারল্য সংকট রয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মো. রকিবুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট ও তারল্য সংকটের কারণে বাজারে দরপতন হচ্ছে। বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনা দেওয়া হলেও তারল্য বাড়েনি। বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট কেটে শেয়ারবাজার ভালো হতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, বাজেটে রিজার্ভের কর সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যুগান্তকারী। তবে শেয়ারবাজারের জন্য যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এগুলো বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে বাজার অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দরপতনই শেয়ারবাজারের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ধস নামার পর মাঝে কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কখনও স্বস্তিতে ছিলেন না বিনিয়োগকারীরা। আওয়ামী লীগ সরকার নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। বিশেষত জানুয়ারির পর টানা কয়েক মাসের দরপতনের প্রেক্ষাপটে তিনি বাজেটে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ওই ঘোষণায় অনেক বিনিয়োগকারী আশ্বস্ত ছিলেন। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর হতাশ হয়েছেন তারা। ফলে ফের দরপতন শুরু হয়েছে। বাজেট পাসের পর দরপতনের মাত্রা বেড়েছে। অব্যাহত এ পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা। পতন ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তারা করছে মানববন্ধন।

শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, নগদ লভ্যাংশ দিতে উদ্বুদ্ধ করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ওপর করের চাপ বাড়িয়ে অর্থমন্ত্রী যে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করেছেন তা ভালোভাবে নেননি বিনিয়োগকারীরা। অর্থমন্ত্রী প্রণোদনার আশ্বাস দিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনো প্রণোদনা না দিলে বিনিয়োগকারীরা যতটা অসন্তুষ্ট হতেন, প্রণোদনার নামে করারোপে তার বেশি অসন্তুষ্ট, হতাশ ও আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন। 

আরকে//