প্রস্তুত এরশাদের কবর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ১৬ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘুরেফিরে যিনি আলোচনার শীর্ষে থেকেছেন তিনি হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সংদের বিরোধলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ।
তবে তিনি এখন অতীত। গত রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান পল্লীবন্ধু খ্যাত জাতীয় পার্টির এ চেয়ারম্যান।
সামরিক বাহিনী থেকে উঠে আসা এ রাজনীতিককে চিরশায়িত করা হবে বনানীর সামরিক কবরস্থানে।
রাজধানীতে তিন দফা জানাজা শেষে জন্মস্থান রংপুরে চতুর্থ জানাজা শেষে আজ বাদ আসর তাকে এখানে সমাহিত করা হবে।
সাবেক এ রাষ্ট্রপতির দাফন সম্পন্ন করতে সকাল থেকে ৩০ জন শ্রমিক কবর প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত আছেন।
কবরস্থান প্রস্তুতের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র অফিসার দেলোয়ার গণমাধ্যমকে জানান, সকাল ৮টা থেকে ৩০ জন শ্রমিক কবর প্রস্তুতের কাজ করছেন। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবের দাফনের সময় সামরিক বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের অফিসাররা উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।
রক্তে হিমোগ্লোবিন না থাকা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনি জটিলতায় গত মাসের ২২ জুন থেকে সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এরশাদ।
প্রতিনিয়ত শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় অনেকবার বিদেশে নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এরশাদের পরিবার ও তার দল। ফলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন এরশাদ। সাবেক এ সেনা প্রধান রংপুর-৩ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত হন।
৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হোন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। পরে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন। সামরিক কায়দায় ক্ষমতায় আসলেও, তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির মধ্যদিয়ে নতুন করে রাজনীতিতে আগমন ঘটে তার।
কিন্তু ২০০৮ সালের পর থেকে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বিতর্কিত বক্তব্য ও সিদ্ধান্তের কারণে বেশ সমালোচিত হতে থাকেন এরশাদ।
সবশেষ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করেন সাবেক এ সেনা প্রধান। বর্তমান জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন তিনি।
আই/