ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বড় কুঠির মালিকানা হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

মো. উমর ফারুখ, রাবি

প্রকাশিত : ১১:৫৬ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৯ বুধবার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রশাসনিক ভবনের (বড় কুঠি) মালিকানা সংস্কৃত বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করেছেন শিক্ষকরা। সম্প্রতি শিক্ষক সমিতির এক সভায় মালিকানা হস্তান্তরের বিষয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করা হয়। 

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন, ‘শিক্ষকরা সর্বসম্মতিক্রমে বড় কুঠি হস্তান্তর নিয়ে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনে যাবে শিক্ষক সমিতি।’

জানা যায়, গত ২৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ভবনটির মালিকানা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ৩ জন সদস্য নোট অব ডিসেন্ট (সিদ্ধান্তে আপত্তি) জানান। তবে বিষয়টি প্রথমে উপাচার্য অস্বীকার করেন। তবে পরে সিন্ডিকেটের ঐ সব সদস্যরা লিখিতভাবে বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়। 

রেজিস্টার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, প্রত্নসম্পদ সংরক্ষণ অধিদপ্তর আইন-১৯৭৬ অনুযায়ী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ভবনটি সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে। একই সঙ্গে ভবনটি সংস্কার করে হেরিটেজ (ঐহিত্যবাহী স্থান) করার জন্য ২০১৮ সালের জুনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি গেজেট প্রকাশ করে। এর প্রেক্ষিতে ঐ সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এম. এ. বারী বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ হয়েছে। আমরা সরকারের বিরোধিতা করতে পারি না। এ ছাড়া সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ভবনটি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তবে বিষয়টির বিরোধীতা করে শিক্ষকরা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে অবিবেচকের কারসাজি বলে উল্লেখ করেন। ভবনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সম্পত্তি হওয়ায় তা সরকারের অধিনস্ত হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা। 

উল্লেখ্য, রাজশাহী শহরের পদ্মাতীরে বড়কুঠি ভবনটি অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মাণ করা হয়। এটি প্রথমে র্ডাচদের ব্যবসা কেন্দ্র ছিল। দেশ ভাগের পর ১৯৫১ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে বড়কুঠি সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত হয়। ১৯৫৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে প্রথম প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। সেই সময় থেকেই ভবনটির মালিকানা পায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

এমএস/আরকে