ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

কুবিতে সড়কে নেই গতিরোধক, জীবন ঝুঁকিতে হাজারো শিক্ষার্থী

কুবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১১:৫৯ এএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়কে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই চলাচল করে বাস ও ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন। পর্যাপ্ত জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক (স্পিড ব্রেকার) না থাকায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে যে কোনও সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দফতরকে দেখভালে দায়িত্ব ও শাখা ছাত্রলীগ রমজানের ঈদের পর স্পিড ব্রেকার নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা এখনও আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। এই নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দফতরের একজন প্রকৌশলীকে গতিরোধক নির্মাণে দায়িত্ব দিয়েছিল। দুই মাস পার হয়ে গেলেও এখনও কোনও জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক নির্মাণ করা হয়নি। অন্যদিকে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রমজানের ঈদের পর ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়ক দুইটি গতিরোধক নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা এখনও দৃশ্যমান হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, উপাচার্যের বাসভবন এবং আবাসিক হলগুলোর সামনে কোনও গতিরোধক নেই। তবে কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে দুটি গতিরোধক দিলেও কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ভেঙে যায়। এদিকে এই সড়কে ঘন ঘন মোড় থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিভিন্ন দোকান থাকায় শিক্ষার্থীদের সেখানে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

অভিযোগ রয়েছে, কোনও গতিরোধক না থাকায় ছাত্রী হলের সামনে এসে বহিরাগতরা বাইকের গতি বাড়িয়ে দেয়। এ সময় ইভটিজিং করলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে বখাটেরা।

এদিকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন সড়কের মোড়ে ঝোপঝাঁড় থাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় কবলে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। তাছাড়া রাস্তার যানবাহন নিয়মবহির্ভূতভাবে রাখায় দুর্ঘটনার কারণ বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আমরা কাজ শুরু করার জন্য চেয়েছিলাম কিন্তু বৃষ্টির কারণে পারিনি। এক সপ্তাহের মধ্যেই গতিরোধক নির্মাণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, কাউন্সিলর বরাবর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি পাঠিয়েছি। তারা অতিদ্রুত স্পিড ব্রেকার নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে নির্মাণ করা হবে কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সরকারি রাস্তায় কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে গতিরোধক নির্মাণে বাঁধা-নিষেধ আছে।