গাইবান্ধার সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীর নির্ঘুম রাত কাটছে গীর্জা প্রাঙ্গনে অথবা খোলা মাঠে
প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৬ সোমবার | আপডেট: ০৫:১২ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার
আতংক কাটছে না গাইবান্ধার গোবিন্দঞ্জের সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীর। আগুনে পোড়া ঘরের দিকে চেয়ে গীর্জা প্রাঙ্গনে অথবা খোলা মাঠে কাটছে নির্ঘুম রাত। প্রাণ গেছে, আরো যাক, তবু জমিন ছাড়তে চায়না সাঁওতালরা। স্থানীয় প্রশাসন, সরকারের উর্ধ্বতনরা পাশে থাকার কথা বললেন আশ্বস্ত হতে পাড়ছে না তারা। এদিকে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ হয় ৬ নভেম্বর, সেই দিনই রাতে আগুনে পড়িয়ে দেয়া হয় ঘরবাড়ি। এখনো চোখের জল শুকায়নি সাঁওতাল নৃগোষ্ঠীর। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ আখ খামার থেকে তারা গ্রামে ফিরে গেছে। সীতা মাড্ডি কিংবা সাদিনা মরমুরা কয়েক পুরুষ ধরেই বাস করছে এ অঞ্চলে। আকস্মিক সহিংস হামলা আর দখলের ঘটনায় স্বজনদের হারিয়ে এখন বিক্ষুদ্ধ তারা।
প্রায় ১৮৪২ একর জমিতে চাষবাস করেছে কয়েক দশক। উত্তরাধিকার সূত্রে এ জমির দাবিদারও তারা। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের উপর এমন হামলার নেপথ্যে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ছিল বলে দাবী তাদের।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি সময়ে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতায় জমির মালিকানা নিয়ে কিছু ফাঁকফোকড় সৃষ্টি হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় উচ্ছেদ কিংবা অগ্নিসংযোগের মতো অনাকাংখিত ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন তারা।