বিদ্রোহীদের বহিষ্কার করবে আওয়ামী লীগ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৫ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার
উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। তালিকা ছোট-বড় মিলে দু’শত জনের নাম রয়েছে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তারা। আগামী শনিবার সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই বিষয় আলোচন করে তালিকা প্রকাশ হতে পারে।
বিগত নির্বাচনে যারা দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের প্রাথমিকভাবে দল থেকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ করা হবে। শোকজের জবাবের পর তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করবে আওয়ামী লীগ। এবারও তেমন করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
গত বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ইস্যুটি উত্থাপন করলে বৈঠকজুড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, যারা দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে নৌকার বিরোধিতা করেছেন এবং নৌকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের যারা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ইন্ধন ও মদদ দিয়েছেন, তাদেরকে সাসপেন্ড করা হবে। তবে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে তাদের শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এ সিদ্ধান্তে তার অনড় অবস্থানের কথা তুলে ধরে নেতারা আরো বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দলীয় নেতাদের কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা না থাকলে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে পেছনে হাঁটতে হবে বলে শেখ হাসিনা বৈঠকে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ রয়েছে এমন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সবাইকে সাসপেন্ডের আওতায় আসতে হবে। মন্ত্রী-এমপিদের ক্ষমা করা হবে কিনা, প্রশ্ন উঠলে শেখ হাসিনা বলেন, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকলে সে যত বড় নেতাই হোক শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। এখানে কে মন্ত্রী, কে বড় নেতা, কে প্রভাবশালী, কে সংসদ সদস্য, সেটা দেখার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান দলীয় সভাপতি। শোকজের উত্তর পাওয়ার পরে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে ১৫ আগস্টের কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সংগঠনকে শক্তিশালী করতে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে নির্দেশ দেন দলীয় সভাপতি। শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠন থাকলে, সব থাকবে। সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়লে পিছিয়ে যেতে হবে সবকিছু থেকে।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে আজকে যে জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি, সেখানে মূল শক্তিটাই ছিল দেশের জনগণ ও তাদের সমর্থন। যে কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পেরেছে। তার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে শক্তিশালী করে জনমত সৃষ্টি করা।
টিআর/এসি