শচীনকে আইসিসির বিরল সম্মাননা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৪৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
আইসিসির হল অফ ফেমে ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে যুক্ত হল কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের নাম। তার সঙ্গে মর্যাদাকর এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেস লেজেন্ড অ্যালান ডোনাল্ড ও দু’বার বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার নারী ক্রিকেটার ক্যাথরিন ফিজপ্যাট্রিক।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে অনুষ্ঠিত আইসিসির একটি অনুষ্ঠানে অনন্য সম্মানে সম্মানিত করা হল এই তিন দেশের তিন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সারাজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ কোনও ক্রিকেটারকে হল অফ ফেমে স্থান দিতে আইসিসিকে বেশ কিছু প্রোটোকলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অন্তত ৫ বছর আগে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের অবসর গ্রহণ করা আবশ্যক।
২০১৩ নভেম্বরে কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছিলেন শচীন। তিন কাঠির খেলাটিকে বিদায় জানানোর পাঁচ বছর পেরোতেই এ সম্মান অর্জন করলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
শচীনের আগে ভারতের বিষেণ সিংহ বেদী (২০০৯), সুনীল গাভাস্কার (২০০৯), কপিল দেব (২০০৯), অনিল কুম্বলে (২০১৫) ও রাহুল দ্রাবিড় (২০১৮) এ অনন্য সম্মান পান।
এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শত রানের রেকর্ডে শচীন সবচেয়ে এগিয়ে। টেস্ট ও একদিনের ম্যাচের ক্ষেত্রেও সর্বাধিক রানের রেকর্ডও তারই ঝুলিতে। ২০০টি টেস্ট ম্যাচ, সবধরনের ফরম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের অধিকারী, সর্বোপরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি শতরানের মালিক লিটল মাস্টার। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সব ধরনের সংস্করণ মিলিয়ে ৩৪ হাজার ৩৫৭ রান করেছেন এই কিংবদন্তি।
এই সম্মান পাওয়ার পর শচীন বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটারদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া আইসিসির হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্তিটা বিরাট সম্মান। এই সম্মানপ্রাপকরা খেলার বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে নিজেদের অবদান রেখেছন। সামান্য কিছু করতে পেরে আমিও খুশি।
অন্যদিকে, এই মর্যাদাকর তালিকায় জায়গা পাওয়া অ্যালান ডোনাল্ড টেস্ট ৩৩০ ও ওয়ানডেতে ২৭২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। ২০০৩ সালে খেলা ছাড়েন তিনি।
অ্যালান ডোনাল্ড বলেন, হল অফ ফেমে অন্তর্ভুক্তির ইমেইল পেয়ে চমকে গিয়েছিলাম। এটা আমায় দারুণভাবে নাড়া দিয়েছিল। কারণ এমন সম্মানকে তুমি কোনওভাবেই খাটো করতে পারো না।
এছাড়া, নারী উইকেট শিকারি তালিকায় দুই নম্বরে আছেন ফিজপ্যাট্রিক। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ১৮০ এবং অভিজাত সংস্করণে ৬০ উইকেট নেন তিনি। পরবর্তী সময়ে অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার।
অনন্য সম্মানে সম্মানিত হয়ে ফিজপ্যাট্রিক বলেন, ক্রিকেট ইতিহাসের জায়ান্টদের সঙ্গে তালিকাভুক্ত হতে পারা অত্যন্ত সম্মানের।