উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ছাত্রীর পরিবারের ওপর হামলা
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:২৯ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী পূর্বপাড়া গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার পরিবারের উপর হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় গোলাম হোসেনের পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন অঞ্জলী আক্তার (২০),শাহাজানের স্ত্রী বেবী (৪৫), রাসেল হোসেনের স্ত্রী মনিরা বেগম (৩০), আবু বক্করের স্ত্রী শিরিনা খাতুন (২৬), গোলাম হোসেনের স্ত্রী ফাইমা আক্তার (৪০)। তাদেরকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ দিকে থানায় মামলা হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। হামলাকারীরা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে স্থানীয়রা ভয় পান বলে অভিযোগ রয়েছে।
হামলায় আহত অঞ্জলী খাতুন জানান, দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের জামাই ভ্যানচালক সাজ্জাদ (২৫) তাকে কলেজে যাওয়া ও আসার পথে উত্যক্ত করেন। সুযোগ পেলেই তাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন সাজ্জাদ। পুকুরে গোসলের সময় দূর থেকে মোবাইল ফোনে তার ভিডিও ধারণ করা হয়।
ঘটনার দিন এসব বিষয়ের প্রতিবাদ করা হলে প্রথমে অঞ্জলী খাতুনের মাকে এলোপাতারি কিল ও ঘুষি দেয় অভিযুক্ত সাজ্জাদ।
এ সময় মাকে বাঁচাতে গেলে কোরবান আলীর পুত্র সাজ্জাদ, তার শ্যালক হাফিজুর ও মফিজুর, মঙ্গল খাঁর পুত্র মোস্তফা, আব্দুর রহমানের পুত্র নুরুজ্জামান ও মেয়ে মুক্তি, নুর আলীর পুত্র মিন্টু, মোস্তফা খাঁর স্ত্রী সুলতানা, আনিছুরের স্ত্রী জেসমিন, মফিখাঁর স্ত্রী শাহিনুর, রাজ্জাক খাঁর স্ত্রী ছায়রাসহ খাঁ বংশের ১৫-২০ জন তাদের পরিবারের পাঁচ জনের উপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় তাদের আহতদের শরীর থেকে ৫ ভরি ওজনের ৪টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারিরা। এসময় স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভূক্তভোগী পরিবার জানায়,হামলাকারীরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় এ হামলা চালায়। বিষয়টিতে যেন কোন মামলা না হয় এবং সাংবাদিকদের জানানো না হয় এ জন্য তাদেরকে হুমকি দেয় হামলাকারীরা।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এম এ মারুফ জানান, হামলার কারণে তারা হামলার কারণে বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন। মাথার সিটিস্ক্যানসহ এক্স-রে করাতে বলেছি। রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে আঘাত কতটুকু গুরুতর।
শার্শা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন বলেন, ‘এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
এমএস/কেআই