ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে ৭ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার
নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইবোলা ভাইরাস। এ বার আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসের প্রকোপ। কঙ্গোয় বসবাসকারী প্রায় ২০ লাখ মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে ইবোলা ভাইরাস।
বুধবার জেনেভায় ইবোলা সম্পর্কিত একটি সংবাদিক সম্মেলনে একে ‘আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সঙ্কট’ বলে ঘোষণা করেছে হু।
আসুন ভয়াবহ ইবোলা ভাইরাস সম্পর্কে কয়েকটি জরুরি তথ্য জেনে নেওয়া যাক:
১) ১৯৭৫ সালে কঙ্গোয় প্রথম ধরা পড়ে ইবোলা ভাইরাস। কঙ্গোর ইবোলা নদীর নামে এই ভাইরাসের নাম রাখা হয়।
২) এখনও পর্যন্ত ইবোলা ভাইরাসের মোট ৫টি প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যার মধ্যে তিনটি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। এই তিন প্রকার ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্য হয়।
৩) টেরোপডিডাই প্রজাতির ফলাহারি বাদুড় ইবোলা ভাইরাসের প্রধান বাহক।
৪) মানুষ ছাড়াও শিম্পাঞ্জি, গোরিলা, অ্যান্টিলোপ, সজারুর মতো প্রাণীর শরীরেও ইবোলা ভাইরাস বাসা বাঁধে।
৫) হাঁচি, কাশির মাধ্যমেও এই ভাইরাস এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া সংক্রামিত ব্যক্তির ঘাম, লালা বা তার সঙ্গে যৌন সংসর্গের মাধ্যেও ইবোলা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
৬) জ্বর আর রক্তক্ষরণ ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। এর সঙ্গেই বমি, গা-হাত-পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা, মাথা ব্যথা, পেট খারাপ ইত্যাদি একে একে শুরু হয়। তার পর কিডনি, লিভারের মতো একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্রমশ বিকল হতে থাকে। সব শেষে মৃত্যু।
৭) ২০১৭ সালেই আবিষ্কৃত হয়েছে ইবোলা ভাইরাসের টিকা। ইবোলার ওই টিকার নাম ‘আরভিএসভি ঝেবোভ’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষকে ইবোলা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই টিকা সফল ভাবে কার্যকর হয়েছে।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ
এমএইচ/