রেলে দুর্নীতি, অনিয়ম আর ভোগান্তি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০৩:৩২ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯ শনিবার
রেল বিভাগকে কে বাঁচাতে বর্তমান সরকার গত দশ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এত টাকা বিনিয়েগের পরও যাত্রীসেবা কাঙ্খিত মাত্রায় পৌঁছানি। পরিসংখ্যান বলছে বিনিয়োগের হাত ধরে রেড়েছে দুর্নীতি, অনিয়ম এবং জনভোগান্তি। আর বেড়েছে লোকশান।
একটা সময় রেলকে বিলুপ্ত কারার ব্যবস্থা করা হচ্ছিলো। সেই ভঙ্গুর রেল বিভাগকে বাচঁতে বর্তমান সরকার যেমন নীতি সহায়তা দিয়েছে, তেমনি বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে। ২০১৩ সালে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ হাজার ছোট বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়।
গেলো ৫ বছরে রেল উন্নয়নে খরচ হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা(; ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৩৪৩২ কোটি টাকা, ১৫-১৬ অর্থ বছরে বিনিয়োগ প্রায় ৮শ কোটি টাকা বেড়ে দাড়ায় ৪২২০ কোটি টাকা, ১৬-১৭ বছরে ৬ হাজার ৮ কোটি টাকা। ১৭-১৮ অর্থ বছরে ১০৬৯০ কোটি টাকা। এর পরের বছর নেয়া হয় ৩৫০৮ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প)।
রেলের বাজেট বাড়ে প্রতি বছর। সেই সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে লোকসান। ( ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে লোকসান হয় ৮০১ কোটি টাকা। ১৪-১৫ অর্থ বছরে ৮৭২ কোটি টাকা, ১৫-১৬ অর্থ বছরে ১ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা, ১৬-১৭ অর্থ বছরে ১ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা, ১৭-১৮ অর্থ বছরে লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৬শ কোটি টাকায়। )
রেলের কিছু কর্মকর্তা কর্মচারির কারণে দুর্নীতি থেকে বের হতে পারছে না রেল। রুবেল। ট্রেনের এটেন্ডেন্ট। সিট দেয়ার নামে টাক নিচ্ছে। (গোপন ক্যামেরার ফুটেজ)
পাশের বগিতে দায়িত্ব পালন করছেন অন্য এটেন্ডেন্ট। সিলেটগামী একটি পরিবারে কাছ থেকে ৭শ টাকা আদায়ে দৃশ্য ধরা পরে আমাদের ক্যামেরায়। এর পরের বগিতে আছেন সুমন নামের এই এটেন্ডেন্ট। তিনিও একই কাজ করছেন।
শুধু এরাই নয়। প্রতিটি বগির এটেন্ডেন্ট একই কাজ করেন। এবার শুনবো টাকা আদায়কারীদের বক্তব্য। ক্যামেরার সামনে সকলেই সাধু ব্যক্তি।
এবার যাবো এমন একটি কক্ষে, যে কক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাধারণ মানুষকে এখানে এনে হয়রানি করা হয়। এখানকার বড় কর্তা বিভাগীয় কর্মশিয়াল অফিসার। তিনি এসে প্রথমেই নিউজ টিমের প্রতি মেজাজ দেখাতে শুরু করেন।
বিভিন্ন অনিয়মে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দুর্নীতিবাজদের পক্ষে অবস্থান নেন।
রেলের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সাথে। তিনি জানান, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেল লাভের চিন্তা করেনা।
তবে, মন্ত্রীর সঙ্গে ভিন্নমত পোষন করেন পরিবহন বিশেজ্ঞা বুয়েটের অধ্যাপক ডক্টর সামছুল হক। তিনি বলেন, পৃথিবর সব দেশেই রেল সেবামূল প্রতিষ্ঠান। আর সেগুলো লাভেই পরিচালিত হয়। এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ বিনিয়োগের ্ও সঠিক ব্যবস্থাপনা।
রেলওয়েকে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল ব্যবস্থায় আনা, আর মনিটরিং ও তদারকি ব্যবস্থার উন্নয়নই পারে রেলকে জনবান্ধব ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে।