ঘূর্ণিঝড় সিডর লন্ডভন্ড করেছিল উপকূলীয় এলাকা, ৯ বছরেও তৈরী হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৫৫ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৬ মঙ্গলবার
আজ ভয়াল ১৫ই নভেম্বর। ২০০৭ সালের এই দিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর লন্ডভন্ড করে দেয় দেশের উপকূলীয় এলাকা। কিন্তু সিডরের পর নয়টি বছর কেটে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোয় এখনো তৈরী হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ। তাই দুর্যোগের পূর্বাভাস এলেই উপকূলীয় এলাকার কয়েক লাখ মানুষকে থাকতে হয় অজানা আতঙ্কে।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডর ও স্বরণকালের ভয়াবহ জলোচ্ছাসে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জের ৬২ কিলোমিটার এলাকা। জলোচ্ছ্বাসে সেদিন জেলার তিনটি পোল্ডারের প্রায় ৭০ কিলোমিটার বাঁধ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। তবে এসব এলাকায় আজও তৈরী হয়নি টেকসই কোন বাঁধ।
যদিও বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে সিইআইপি প্রকল্পের আওতায় টেকসই বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বরগুনার উপকূলে সেদিন ঘন্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে তান্ডব চালায় সিডর। জলোচ্ছ্বাসে পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদীপাড়ের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের ৬৮ হাজার ৩শ ৭৯টি ঘরবাড়ি ভেসে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, জেলার সাড়ে ৯শ’ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ৫৩ কিলোমিটার স¤পূর্ণ এবং ৩৯৬ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখনও সেগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত না করায় আতঙ্ক কাটেনি উপকূলবাসির।
একই অবস্থা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চরখালী-গোলখালীর। ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকার মানুষ আজও বহন করছেন ভয়াল সে স্মৃতি। নয় বছর পরও বিধ্বস্ত বেড়িবাধ সম্পূর্ণ মেরামত না হওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন এখানকার মানুষ।
সিডর বিধ্বস্ত ক্ষতিগ্রস্থ বেরীবাধগুলো দ্রুত মেরামতসহ দূর্যোগে মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা উপকূলবাসীর।