পুলিশী তদন্ত, আঁধারেই কবুতর ফেরত দিল চোর!
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:২৪ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৯ সোমবার
রাতের অন্ধকারে ঘর থেকে চুরি যায় বিদেশি জাতের ১০টি দামী কবুতর। যে কারণে থানা পুলিশের দারস্থ হন গৃহ মালিক। অভিযোগ পেয়ে যথারীতি তদন্তে নামে থানা পুলিশ। বিষয়টি হয়তোবা দ্রুতই পৌঁছে যায় চোরদের কানে। আর এতেই শুভ বুদ্ধির উদয় হয় চোরের। তাইতো তারা ফের রাতের আঁধারে গৃহস্থের বাড়িতে প্রবেশ করে রেখে যায় কবুতরগুলো।
সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের গাঙচর পদমদী গ্রামে। আর এ ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কবুতরগুলোর মালিক গাঙচর পদমদী গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ বাড়িতে বিদেশী সিরাজী, ঘিয়ে চুন্নি, গিরিবাজসহ বিভিন্ন জাতের কবুতর পালন করে আসছি। গত ১৪ জুলাই রাত ১২টা থেকে দেড়টার মধ্যে আমার ঘরের দরজা বাইরে থেকে রশি দিয়ে বেঁধে কে বা কারা জানালা দিয়ে ভিতরে ঢুকে ১০ হাজার টাকা মূল্যের ১০টি কবুতর নিয়ে যায়।
আমার মা সফুরা খাতুন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বেরুতে গিয়ে বিষয়টি টের পান। মায়ের ডাকাডাকিতে উঠে পাটকাটা কাঁচি দিয়ে কৌশলে রশি কেটে বাইরে বের হয়ে কবুতর নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি টের পাই।
তিনি আরও বলেন, পরে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকি। ১৬ জুলাই বহরপুর বাজারে কবুতর বিক্রি হতে পারে এমন ধারণায় আমার ছেলে সাবিদ হোসেন ও তার বন্ধু মিলে বহরপুরের জনৈক ফারুক বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে আমাদের কবুতর চিহিৃত করে। পরে জনৈক ফারুক বলে যে আমি কবুতর কিনেছি, দিতে পারবো না। পরে বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগ পেয়ে থানার এসআই বিল্লাল হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে তৎপরতা চালালে ১৭ জুলাই রাতে যে ঘর থেকে কবুতর চুরি হয়েছিল সেই ঘরেই পাওয়া যায় মূল্যবান কবুতর ১০টি। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি থানার এসআই বিল্লাল হোসেন বলেন, অভিযোগ করার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা যাচাই করি। পুলিশী তৎপরতার কারণে পরদিন রাতেই চুরিকৃত কবুতর গৃহস্থের বাড়িতে রেখে আসে। এতে গৃহস্থ তার চুরি যাওয়া কবুতর পেয়েই খুশি হয় এবং অভিযোগ তুলে নেয়।
এনএস/