ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হচ্ছেন না রোনালদো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫০ এএম, ২৩ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা। 

ক্যাথরিন মায়ারগো নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছিল, লাস ভেগাসের এক হোটেলে ২০০৯ সালে রোনালদো তাকে ধর্ষণ করেন। যদিও জুভেন্টাস ক্লাবের খেলোয়াড় শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছেন।

৩৪ বছর বয়সী মায়ারগো পেশায় একজন শিক্ষিকা ছিলেন। বলা হচ্ছে, এ ব্যাপারে তিনি যেন মুখ না খোলেন সে জন্য আদালতের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে তার ২০১০ সালে আপস-রফা হয়েছিল। রোনালো আদালতের বাইরে আপস-রফার জন্য মায়োরগাকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন।

তবে ২০১৮ সালে পুনরায় অভিযোগ তোলেন মায়ারগো। কিন্তু এ বিষয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে লাস ভেগাসের প্রসিকিউটররা বলেছেন, এই অভিযোগের বিষয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা যায়নি। তার বিরুদ্ধে ‘কোনও অভিযোগ আনা হচ্ছে না’ বলা হয় বিবৃতিতে।

ক্লার্ক কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি অফিস জানায়, ভিকটিম ২০০৯ সালে একটি যৌন হামলার অভিযোগ জানান, কিন্তু তা কোথায় ঘটেছে বা হামলাকারী ব্যক্তি কে- তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এর ফলে কোন ধরণের অর্থবহ তদন্ত-কাজ চালিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

২০১৮ সালের আগস্টে ভুক্তভোগী নারীর অনুরোধে লাস ভেগাসের পুলিশ সদস্যরা এই অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।

কিন্তু বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেই সময়কার তথ্যের পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে যৌন হামলার অভিযোগের সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। ফলে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হচ্ছে না।

জার্মান সাপ্তাহিক পত্রিকা দার স্পাইজেল নামের একটি ম্যাগাজিনে গতবছর প্রথম এই ধর্ষণের অভিযোগের খবর আসে।

তখন বলা হয়, ২০১০ সালে রোনালদো আদালতের বাইরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দেন মায়োরগাকে যাতে তিনি এই ব্যাপারে কোনও অভিযোগ না তোলেন।

মায়োরগার আইনজীবী লেজলি স্টোভাল জানান, তার মক্কেল যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মি টু ক্যাম্পেইন’ ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি এই অভিযোগ পুনরায় সামনে তুলে ধরতে উৎসাহিত হন।

রোনালদো ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে যে দুজনের সাক্ষাত হয়েছিল সেটা তিনি অস্বীকার করেননি। কিন্তু বলেছেন, তাদের মধ্যে যা ঘটেছে তা উভয়ের সম্মতিতেই ঘটেছে।

সে সময় রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে খেলতেন এবং রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেয়ার কথা-বার্তা চলছিল (যেখানে পরবর্তী নয়বছর খেলেন রোনালদো)। গত জুলাই মাসে তিনি জুভেন্টাসে যোগ দেন।

রোনালদো বিশ্বের সেরা ফুটবলার হিসেবে ব্যালন ডি’অর অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন একাধিকবার ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে।

সূত্র: বিবিসি