গুজব ছড়ানো
১০ নিউজ পোর্টাল, ৬০ ফেসবুক ও ২৫ ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০১:৩৮ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৯ বুধবার
পদ্মাসেতুতে মানুষের কাটামাথা প্রয়োজন ও ছেলেধরার বিষয়ে গুজব ছড়ানোয় গত ১৬ দিনে ১০টি নিউজ পোর্টাল, ৬০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ২৫টি ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
এই সমস্ত ফেসবুক লিংক ও ইউটিউব লিংক এর মাধ্যমে সুপরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
বুধবার পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি জানান, গুজব প্রতিরোধে ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে সব ইউনিট, সব থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এপর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবই গুজব। যারা নিহত হয়েছে কেউই ছেলেধরা ছিলো না।
আইজিপি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল সুপরিকল্পিতভাবে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রথম যে পোস্টটি আমাদের নজরে আসে সেটি ছিল দুবাই থেকে। দুবাইয়ের এক ব্যক্তি এই পোস্টটি করেন। গুজব ও গণপিটুনির ঘটনায় ৩১টি মামলায় এ পর্যন্ত ১০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য আন্দোলনসহ নানা উপায় অবলম্বন করে ব্যর্থ হয়ে এখন গুজব ছড়াচ্ছে। তারা দেশের বাইরে থেকেও গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। গুজবের ঘটনায় এ পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের কয়েকজনের সরকারবিরোধী রাজনীতিক দলের লিংক পেয়েছি। জড়িতদের প্রোফাইল তৈরির কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
আইজিপি আরও বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা দেখেছি প্রতিটি ঘটনায় ইতিপূর্বেও গুজবকে ব্যবহার করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের দেশে ‘সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে’ এমন গুজবও ছড়িয়েছে। আমাদের মানুষ খুব সহজ সরল।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পোস্ট হলে, আর সেটি যদি নেগেটিভ হয় তাহলে খুব দ্রুত শত শত লাইক-শেয়ারে ভরে যায়। এই ঘটনাগুলো পুলিশ সদর দফতরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এসএ/