রাবির ফারুক হত্যা মামলা
সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:১২ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৫৮ পিএম, ২৫ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।
এর মধ্য দিয়ে ফারুক হত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাঈদীর বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকারের আদালত ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ৬০ আসামি। অনুপস্থিত ছিলেন ৪৭ জন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ১১০ জনকে। এদের মধ্যে তিনজন আগেই মারা গেছেন। বাকি ১০৭ জনের বিচার শুরু হলো। আদেশ শেষে ১২টা ৫ মিনিটে সাঈদীকে আদালত থেকে বের করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন ওই আদালতের এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন। আর আসামিপক্ষে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এ মামলা লড়ছেন।
এদিকে রাজশাহী আদালতে সাঈদীকে একনজর দেখতে আদালত প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশে ভিড় করেন স্থানীয়রা। আদালত অঙ্গনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে দেখা যায় আদালত চত্বরে। রাজশাহী জামায়াত নেতারা ছাড়াও সাধারণ মানুষও ভিড় করেছেন আদালতের আশপাশে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা। ওই সংঘর্ষে শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে হত্যা করে লাশ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহলে ফেলে দেয়। ওই রাতে ছাত্রলীগের আরও তিন কর্মীর হাত-পায়ের রগও কেটে দেয় হামলাকারীরা।
পর দিন এ নিয়ে নগরীর মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
পরে ওই মামলার হুকুমের আসামি করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বেশ কয়েকজনকে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নিজামী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
২০১২ সালের ৩০ জুলাই নগরীর রাজপাড়া থানার তৎকালীন ওসি জিল্লুর রহমান মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিনেও মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি।