রেলের লোকসান বাড়ছে (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৪ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:৪৮ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯ শনিবার
গত একযুগে রেলের জন্য রাষ্ট্রিয় বরাদ্দ যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে লোকসানও। তবে রেল লাইনের উন্নতি হয়নি বরাদ্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। নানা সময়ের দুর্ঘটনাই এ তথ্যের প্রমান। এছাড়া ৬১ হাজার একর জমির কতটা রেল বিভাগের দখলে আছে, এ প্রশ্নেরও উত্তর প্ওায়া কঠিন। । রিপোর্ট করেছেন সাইদুল ইসলাম।
এনিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন থাকছে রাত ১০টায় একুশের চোখ অনুষ্ঠানে। দেখার আমন্ত্রণ রইলো।
রেলকে বাচাঁতে বর্তমান সরকার অসংখ্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে চলমান রয়েছে প্রকল্পগুলো। বেশ কিছু শেষও হয়েছে। তবে, সাধারণ মানুষের জন্য রেল যাতায়াত কষ্টকর অভিজ্ঞতা।
গত দশ বছরে রেলের জন্য বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা।
১৬-১৭ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিলো ৮ হাজার ৮শ ৬ কোটি টাকা; বাস্তবায়ন হয়েছে ৬৫ শতাংশ, ১৭-১৮ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ৪ শ ৩৫ কোটি টাকা; বাস্তবায়ণ হয়েছে ৯৮শতাংশ, ১৮-১৯ অর্থ বছরে বরাদ্দ ছিলো ১১হাজার ৩শ ৩৩ কোটি টাকা, বাস্তায়ন হয়েছে ৮৬ শতাংশ।
গেলে ১০ বছরে রেলের আয়ও ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে : ২০০৯-১০ অর্থ বছরে আয় ৬৯৮ কোটি টাকা, ১০-১১ অর্থ বছরে ৭৩৮কোটি টাকা, ১১-১২ অর্থ বছরে আয় ৬২৮ কোটি টাকা, ১২-১৩ অর্থ বছরে আয় ৮১৪ কোটি টাকা, ১৩-১৪ অর্থ বছরে আয় ৮০৭ কোটি টাকা, ১৪-১৫ অর্থ বছরে আয় ৯৭১কোটি টাকা, ১৫-১৬ অর্থ বছরে আয় ৯১৫ কোটি টাকা, ১৬-১৭ অর্থ বছরে ১১৫৪ কোটি টাকা, ১৭-১৮ অর্থ বছরে আয় ১৫০০শ কোটি টাকা।
বাজেট ও আয়ের সঙ্গে বেড়েছে লোকসান। চিকিৎসা, পুলিশ, জনকল্যাণ, পেনশন ও ঋণপরিশোধ খাতের খরচ বাদেই দেখানো হয় এই লোকসান চিত্র: ২০০৯-১০ অর্থ বছরে ২৭৬ কোটি টাকা ১০-১১ অর্থ বছরে ৩৫১ কোটি টাকা, ১১-১২ অর্থ বছরে ৫০৩ কোটি টাকা, ১২-১৩ অর্থ বছরে ৪১১ কোটি টাকা, ১৩-১৪ অর্থ বছরে ৪৯৬ কোটি টাকা, ১৪-১৫ অর্থ বছরে ৪৭৫ কোটি টাকা, ১৫-১৬ অর্থ বছরে ৭৮৮ কোটি টাকা, ১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫৮৩ এবং, ১৭-১৮ অর্থ বছরে লোকসান হয়েছে ৬২৪ কোটি টাকা।
রেলের বোঝা ডেমু ট্রেন। ২০১৪ সালে চীন থেকে ২০ সেট ডেমু ট্রেন আনা হয়েছিল ৬৬২ কোটি টাকায়। যা সুদসহ প্রায় হাজার কোটিতে দাঁড়িয়েছে।এসব ডেমু ট্রেনের বডি এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে।
কাগজে কলমে সারাদেশে রেলের সম্পত্তি ৬১ হাজার ৮শ ২০ একর। রেলের তথ্যমতে পূর্বাঞ্চলের জমি রয়েছে ২৪ হাজার ৪শ ১ একর। আর বেদখল হয়েছে ৪৮২ একর। পশ্চিমঞ্চলে রেলের জমির পরিমাণ ৩৭ হাজার ৪শ ১৯ এক। এর বেশিরভাগই রেলের হাতে নেই।
রেলের বেহাত জমি এবং লাভ লোকসান নিয়ে কথা হয় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। জমি উদ্ধারে অভিযান অব্যহত আছে বলে জানান মন্ত্রী।
বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, রেলের সব চেয়ে বড় সমস্যা সঠিক ব্যবস্থাপনা। সঙ্গে আছে দুর্নীতি।
রেলওয়ের স্বয়ংক্রিয় কারিগরি ব্যবস্থাপনা এবং উন্নত কর্মী ব্যবস্থাপনা ছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবামান কাঙ্খিত মাত্রায় পৌঁছানো যাবেনা।