মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০১:৪৮ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯ শনিবার
গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও জামালপুরের কয়েকটি স্থানে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। সেই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ভোগও। বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও খাদ্য সংকটে বানভাসিরা। তবে উত্তরাঞ্চলে নদনদীর পানি আবারও কমতে শুরু করেছে।
গাইবান্ধায় এখনও গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে পানি। কয়েকটি এলাকায় আবারও বাড়ছে তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। বাঁধ বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা দুর্গতরা।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আবারও নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় নতুন করে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।
বগুড়ায় যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকলেও বাড়ছে বাঙালী নদীর পানি। গাবতলি, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বাড়ছে পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা।
টাঙ্গাইলে যমুনার পানি কিছু বৃদ্ধি পেলেও কমছে ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি। ৬ উপজেলার দুই লক্ষাধিক এখনো মানুষ পানিবন্দী। দুর্গত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।
অপরিবর্তিত ময়মনসিংহের বন্যা পরিস্থিতি। সদরের চরগোবিন্দপুর, চরভবানীপুর ও দুর্গাপুরসহ ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী। পুরনো ব্রহ্মপুত্রের ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত শুরু করলেও তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে।
কমতে শুরু করে আবারও যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। রাস্তা বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষ ঘরে ফিরতে পারছে না।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে পানি কমছে ধীর গতিতে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র পানি কমেছে মাত্র ২ সেন্টিমিটার। বানভাসীরা বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও খাদ্য সংকটে রয়েছে।
কুড়িগ্রামে আবারও কমতে শুরু করেছে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি। অনেকেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাটের ক্ষয়ক্ষতিতে হতাশ তারা।