১০ বছরে একবারও মা-বাবার কাছে যাননি মালিঙ্গা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৯ শনিবার
বাবরী দোলানো বাহারি ঝাঁকড়া চুল আর মন ভোলানো হাসিতে সহজেই আকৃষ্ট করেন ফেলেন সবাইকে। তবে এসব কিছু ছাপিয়ে অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন দিয়েই নজর কেড়ে নিয়েছিলেন গোটা বিশ্বের। এভাবেই ১৫ বছর কাটিয়ে দিয়ে শুক্রবার (২৬ জুলাই) খেলে ফেললেন জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যে ম্যাচে জিতে এবং সতীর্থদের বিদায়ী সংবর্ধনায় শিক্ত হয়ে শেষবারের মত মাঠ ছাড়েন তিনি।
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, বলছিলাম লঙ্কান গ্রেট পেসার লাসিথ মালিঙ্গার কথা। ২২৬টি ওয়ানডে খেলে ৩৩৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩০ টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ১০১। আর ৭৩টি টি-২০ ম্যাচে পেয়েছেন ৯৭ উইকেট। লাসিথ মালিঙ্গা সম্পর্কে এ তথ্যগুলো আমরা কম বেশি সবাই জানি।
তবে এটা মালিঙ্গার জীবনের যেমন একটা দিক তেমনি আরেকটা দিকও রয়েছে। যেটা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। সেই দিকটা তুলে ধরতেই আজকের এই আয়োজন।
অনেকে হয়তো আবার বলবেন, এটা কিছুটা বাড়াবাড়ি। কিন্তু আমি বলবো- না, এটা মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। একজন তারকা জীবনের সব দিক সম্পর্কে জানা যেমন আপনাদের অধিকার। তেমনি জানানোটাও আমাদের দায়ীত্ব। তো সেই দায়ীত্ব থেকেই লেখা আরকি।
যাইহোক, এবার মূল কথায় আসা যাক। অনেকের জানা থাকতে পারে যে, শ্রীলঙ্কার সমুদ্রতীরবর্তী গল শহরই মালিঙ্গার জন্মস্থান। তবে আসল তথ্য হচ্ছে, লঙ্কান এই কিংবদন্তীর জন্ম গলের রাথগামা গ্রামে। সেখানে সমুদ্রের পাশে বালির মধ্যে ছোলানো নারকেল নিয়ে বোলিং করতেন মালিঙ্গা।
কিন্তু প্রায় ১০ বছর ধরে নিজের গ্রামের বাড়িতে যাননি মালিঙ্গা। এমনকি মা–বাবার খোঁজ পর্যন্ত নেননি তিনি। সেখানে তারা কী অবস্থায় রয়েছেন সে খবরও রাখেননি বৈশ্বিক এ তারকা।
বর্তমানে রাথগামায় গ্রামের বাড়িতে থাকেন শুধু তার মা–বাবা। সেলাইয়ের কাজ করে বহু কষ্টে শিষ্টে সংসার চলে তাদের। আর মালিঙ্গা থাকেন রাজধানী শহর কলম্বোতে। গত ১০ বছরে একবারও বাবা-মাকে দেখতে গ্রামের বাড়িতে যাননি মালিঙ্গা।
এ বিষয়ে মালিঙ্গার মা বলছিলেন, ‘ছেলে কলম্বোর জীবনযাত্রা পছন্দ করে। তাই গলের বাড়িতে আসতে চায় না। ৪ মাস আগে একবার কলম্বো গিয়েছিলাম। তখন ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।’
এদিকে মা-বাবার ঘরের দেয়ালে টাঙানো রয়েছে মালিঙ্গার খেলার নানা মুহূর্তের একাধিক ছবি। মা–বাবার আশা অবসরের পর ছেলে হয়তো গ্রামের বাড়িতে আসবে, সময় কাটাবে তাদের সঙ্গে।
অবসর তো মালিঙ্গা নিয়েই ফেলেছেন। তাহলে এবার কি তিনি পূরণ করবেন তার পরম শ্রদ্ধেয় বাবা-মা'র এ চাওয়া? সে উত্তর এখনই দেয়া না গেলেও অচিরেই যে জানা যাবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেই পর্যন্ত তো অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে।
এনএস/আরকে