ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশ হেপাটাইটিস বি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা অর্জন করেছে : ডাব্লিউএই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:৩০ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার

বাংলাদেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এশিয়ায় হেপাটাইটিস বি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা অর্জনকারী প্রথম চারটি দেশের অন্যতম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে ঘাতক এই ব্যাধির আক্রান্তের হার এক শতাংশের কমে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।

ডাব্লিউএইচও’র ঘোষণায় বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল ও থাইল্যান্ড এই চারটি দেশ প্রথম পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগের হার এক শতাংশের নিচে আনতে সক্ষম হয়েছে।

ডাব্লিউএইচও-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশেষজ্ঞ দলটি বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল ও থাইল্যান্ড এই চারটি দেশের হেপাটাইটিস বি নিয়ন্ত্রণের টিকা দান যাচাই ও পর্যালোচনার উপাত্তে দেখা গেছে, বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত এ সব দেশ শতকরা ৯০ শতাংশ শিশুকে হেপাটাইটিস বি-এর টিকা দানের আওতায় আনতে পেরেছে।

এই চারটি দেশের ওপর পরিচালিত জরিপে আরো দেখা গেছে, এসব দেশে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে শিশু আক্রান্তের হার এক শতাংশের কম।

শৈশবে হেপাটাইটিস বি সংক্রমণ প্রতিরোধ বেশি বয়সের সংক্রমণ এবং লিভার ক্যান্সার ও সিরোসিস প্রবণতা কমিয়ে আনে।

ডাব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক টিকা দান পরিকল্পনায় বিভিন্ন দেশে টিকা দানের মাধ্যমে ২০২০ সাল নাগাদ হেপাটাইটিস বি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
ডাব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, ‘প্রতিটি শিশুকে, প্রত্যেক অঞ্চলে, প্রতিটি সময় জীবন রক্ষাকারি হেপাটাইটিস বি-এর টিকা দানের অবিচল লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ায় এ প্রাপ্তি অর্জিত হয়েছে। এ সাফল্য দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রতিশ্রুতির চিত্র তুলে ধরেছে এবং স্বাস্থ্যকর্মী ও শিশু স্বাস্থ্য রক্ষাকারী গ্রুপগুলোর নিরলস প্রচেষ্টার চিত্রও তুলে ধরে।’

ডাব্লিউএইচও-এর শুভেচ্ছাদূত অমিতাভ বচ্চনের প্রচারণার কথা উল্লেখ করেন ক্ষেত্রপাল সিং।

বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবসের প্রাক্কালে এই সাফল্য অর্জিত হলো। দিবসটি ‘হেপাটাইটিস দূরীকরণে বিনিয়োগের’ গুরুত্ব তুলে ধরে।

আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘হেপাটাইটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা দেয়া অতি সহজেই সম্ভব। এর জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সচেতনতা সৃষ্টি ও অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ- যেমন নিরাপদ ইনজেকশন, নিরাপদ রক্ত এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে হবে।’

ডাব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জরিপে দেখা গেছে, প্রতিরোধক হওয়া সত্ত্বেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতিবছর ৪ লাখ ১০ হাজার লোক হেপাটাইটিস ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষত উৎপাদনক্ষম বয়সে এ মৃত্যু বেশি হয়ে থাকে। প্রায় ৯০ মিলিয়ন লোক দীর্ঘস্থায়ী যকৃত রোগের শিকার হয় এতে করে যকৃত ক্যানসার ও সিরোসিস এর হার বেড়ে যায়।

সূত্র: বাসস

এমএস/