ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

এবার লঙ্কা-ধোলাইয়ের শঙ্কায় তামিমরা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ রবিবার

কলম্বোয় রোববার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। যে ম্যাচে টাইগার ক্যাপ্টেন তামিমকে দেখা গেছে দিক্ভ্রান্ত। যিনি খুঁজে পাচ্ছেন না সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ। পাবেন কী করে! কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে যে দেখা যায়নি দুর্দান্ত সেই বাংলাদেশকে। বরং তামিমের দলকে মনে হয়েছে আরও ভঙ্গুর, পথ হারা! সেটা ব্যাটিং বোলিং—দুই বিভাগেই। 

অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ দল হলেও জয়ের ছন্দটা ভালোভাবেই ধরে রেখেছে করুনারত্নের শ্রীলঙ্কা। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তাই সিরিজ জিততে সমস্যা হয়নি লঙ্কানদের। বাংলাদেশকে আজ তারা হারিয়েছে অনায়াসে, ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

কারণ, ২৩৮ রান ‘ডিফেন্ড’ করতে যে বোলিংটা দরকার ছিল, সেটাই করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দুই শ্রীলঙ্কান ওপেনারকে ফেরাতেই ঘাম ছুটে গেছে বোলারদের। সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে তার আগেই। পরে ২৩-২৮ এই পাঁচ ওভারের মধ্যে পেরেরাকে ফিরিয়ে মাত্র পাঁচ রান দিলেও ম্যাথুস-মেন্ডিসের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটি ৯৬ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। ম্যাথুস অপরাজিত ৫২ রানে। আর মেন্ডিস উইকেটে ছিলেন ৪১ রানে।

এর আগে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি মিরাজ। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নকে (১৫) বোল্ড করে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন মিরাজ। কিন্তু ততক্ষণে শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলেছে ৭১ রান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল পেরেরাকে নিয়ে আজ সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন অভিষ্কা ফার্নান্দো। সেটা অবশ্য হতে দেননি মোস্তাফিজ। কাটার মাষ্টারের বলে তামিম ইকবালের ক্যাচ হওয়ার আগে ফার্নান্দো করেছেন ৮২ রান। 

পরে পেরেরাকেও (৩০) তুলে নিয়ে দলকে খেলায় ফেরানোর ইঙ্গিত দেন দ্য ফিজ। কিন্তু তা ওই পর্যন্তই। মেন্ডিস ফেরার ফলে ২৩ ওভার থেকে ২৮ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ওপর যেভাবে চেপে বসেছিলেন টাইগার বোলাররা তা আর ধরে রাখতে পারেননি তামিমের অনভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন্সির কারণে। 

ওই সময় চাপ আরও বাড়ানোর বদলে সাব্বিরকে এনে উল্টো চাপমুক্ত করেন শ্রীলঙ্কাকে। চড়াও হয়ে খেলতে থাকা ম্যাথিউজ ও মেন্ডিজ শেষ পর্যন্ত ৯৬ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে অনায়াসেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে। সাত উইকেট এবং ৩২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেন দুজনে। সঙ্গে নিশ্চিত করেন সিরিজও। তবে ৭৫ বলে নয় চার ও দুই ছক্কায় ৮২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো।

এদিন শ্রীলঙ্কার সামনে বড় কোনো লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য তামিমদের ২৩৮ রানই হয় না, যদি মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসটা না আসত। লড়াকু ইনিংস খেলা বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অবশ্য পরে কিপিং করতে নামেননি। ড্রেসিংরুমে বসেই হতাশ মুখে দেখেছেন দলের হার। এই হারে বাংলাদেশ সিরিজ তো হারিয়েছেই। এখন তামিমদের শঙ্কা ‘লঙ্কাধোলাই’!

আর এ লঙ্কাধোলাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগামী ৩১ জুলাই তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে তামিম বাহিনী।

এনএস/