ফের জুয়ার আসরে সুজন, ফেসবুকে তোলপাড়!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩২ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৯ সোমবার
২০১৫ বিশ্বকাপে অনুমতি না থাকা স্বত্বেও মাঝরাতে হোটেলে ফেরায় দল থেকে শুধু বাদই পড়েননি, সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশের বিমানে তুলে দেয়া হয়েছিল পেসার আল-আমিন হোসেনকে। সেই বিশ্বকাপেই হোটেলে জুয়ার আসরে অংশ নিয়েছিলেন ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন। এ নিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে কম সমালোচনা হয়নি।
এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে এবার আর বিশ্বকাপে নয়, শ্রীলংকায় চলমান ওয়ানডে সিরিজেই।
শ্রীলংকায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই খেলায় হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে টাইগারদের। এখন হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। দলের এমন বাজে অবস্থার মধ্যেই নেতিবাচক খবরে শিরোনাম হলেন সাবেক এ অধিনায়ক।
কলম্বো শহরটি এমনিতেই ক্যাসিনোর জন্য বিখ্যাত। নামকরা সব ক্যাসিনো রয়েছে এখানে। এরই একটি ক্যাসিনোতে জুয়া খেলছেন সুজন। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
গোপনে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, বেলিস ক্যাসিনো নামে কলম্বোর জনপ্রিয় একটি ক্যাসিনোর জুয়ার আসরে এক নারী ওয়েটারের হাত থেকে ব্যাংকের এটিএম অথবা ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ করছেন খালেদ মাহমুদ। এরপর তিনি এগিয়ে যান একটি জুয়ার টেবিলের দিকে। যাতে আরও বেশ কয়েকজন মানুষকে বসে থাকতে দেখা যায়।
১১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটির স্থানের সঙ্গে শতভাগ মিল খুঁজে পাওয়া গেছে বেলিস ক্যাসিনোর।
এর আগে ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে তিনি ক্যাসিনো বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে ওই বিশ্বকাপে গিয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাসিনোতে ক্যামেরাবন্দি হন। তবে পরে তিনি জুয়ার কথা অস্বীকার করে জানান, রাতের খাবার খুঁজতে ভুলে ক্যাসিনোতে ঢুকে যান তিনি। কিন্তু এবার কি জবাব দিবেন সুজন!
এমন প্রশ্ন উঠতেই তুমুল ট্রল শুরু হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ইমন খান নামে একজন লেখেন- গতিদানব, ইন সুইং আউট সুইং রিভারস সুইং সুলতান, ইর্য়কার মাষ্টার, বাউন্সার গড, ডেথ বলার স্যার খালেদ মাহমুদ সুজন ভাই একটু মজা করতে গেছে তাতে কি হইছে। কত বড় মাপের লোক সে।
মাহবুব আমিন নামে আরেকজন লেখেন, উনিতো বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল কোচ। তিনি দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশ টিমকে উনার জামানায় ফেরত নিয়ে গেছেন! উনার জামানায় বাংলাদেশ টিম টেনেটুনে ২২০, ২৩০, ২৪০ করতে পারত।
শামিম রহমান সজিব নামে এক ফেসবুক ইউজার লেখেন, চাচা আসলেই জন্মগত জুয়াড়ি। আগেও জুয়ার টেবিলে ওনাকে দেখা গেছে। উনাকে জাতীয় দলের কোচ বানাইলে খেলোয়ারদের নিঃস্ব করে ছাড়বে।
এদিকে আতিকুর রহমান নামে একজন লেখেন, তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে চাংগা করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। হৃদয় জিতে নিলেন আপনি, ভালোবাসা অবিরাম।
এভাবেই সুজনকে নিয়ে ফেসবুকে একের পর এক ট্রলে মেতে ওঠেন টাইগার ভক্ত সমর্থকরা।
এনএস/এসি