ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ফরিদপুরে ৯ জনের যাবজ্জীবন   

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৩:৫৭ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৯ বুধবার

একসঙ্গে সারা দেশে গত ২০০৫ সালে বোমা হামলার এক মামলায় ফরিদপুরে নয়জনকে যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। এছাড়া আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও ছয় মাস কারাগারে থাকতে হবে।

আজ বুধবার ফরিদপুরের বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন আমির সোহেল মিয়া, আমীর হোসেন, রায়হান মোল্লা, মাসুম বিল্লাহ, আব্দুর রউফ, আব্দুল গাফফার, তোফাজ্জেল হোসেন, মর্তুজা ও খাললুর রহমান। তাদের মধ্যে মর্তুজা পলাতক রয়েছেন। অন্য আট আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।

পলাতক মর্তুজার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দেয় জেএমবি। এর অংশ হিসেবে এসব জেলার ৬৩৪ জায়গায় বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে তারা।

ফরিদপুরের জজ আদালতের পিপি গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা মামলার নথির বরাতে জানান, ২০০৫ সালের ১৭ অগাস্ট অন্যান্য জেলার মত ফরিদপুরেও বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় ফরিদপুর থানায় মামলার পর পুলিশ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আটক জেএমবি সদস্য আমির সোহেল মিয়া ও আমীর হোসেন দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

“সাক্ষ্য-প্রমাণে আদালত নয়জনকে দোষী সাবব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দিয়েছে। এছাড়া অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত না হওয়ায় আদালত আরও পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছে।” খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন মিজানুর রহমান মুকুল ওরফে মোয়াবিয়া, ইউসুফ আলী ওরফে আল্লামা ইউসুফ, ইয়াসিন সিকদার, তরিকুল ইসলাম ওরফে শুকুর ও আরিফ খান। পিপি রব্বানী বলেন,“রায়ে আমরা খুশি হয়েছি। তবে আদালত পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়ায় আমরা আপিল করব।”

টিআর/