সাভারে টাকা নিয়ে উধাও এনজিও কর্মকর্তারা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৬ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ঢাকার সাভারে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে সঞ্চয় হিসেবে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ‘জাগ্রত ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিও (নন গভারমেন্ট ওরগানাইজেশন)। গ্রহকদের টাকা নিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন ঐ এনজিওর কর্মকর্ত-কর্মচারীরা। পরে এনজিও’টির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভও প্রদর্শন করেন গ্রাহকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভার পৌর এলাকার রাজাশন মহল্লায় (৮নং ওয়ার্ড) গত কয়েক মাস ধরে জাগ্রত ফাউন্ডেশন নামের একটি এনজিও গ্রাহকদেরকে মোটা অংশের ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করে আসছে।
এর মধ্যে গত ২২ জুলাই রাজাশন মহল্লার এক প্রবাসীর পাঁচতলা বাড়ির চার তলায় ভাড়া নিয়ে শাখা অফিস চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ২৬-২৮ জুলাই সকল গ্রাহককে ঋণ দিবে বলে নতুন শাখা কার্যালয়ে আসতে বলা হয়। গ্রাহকরা যথা সময়ে ঋণ নিতে নতুন কার্যালয়ে এসে তালা ঝুলতে দেখেন। এরপর কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি অফার এখানে নেই।
ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা জানেন, জাগ্রত ফাউন্ডেশন নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি মোটা অংশের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয়ের টাকা জমা নেয়। পরে প্রায় দুই শতাধিক গ্রাহকের প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতি এক লাখ টাকা ঋনের বিপরীতে গ্রাহকদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা করে সঞ্চয় জমা নেয়।
প্রবাসী বাড়ির মালিকের ভাই খোকন মিয়া বলেন, ‘জাগ্রত ফাউন্ডেশনের শাখা ম্যানেজার মো: ফয়ছাল আহমেদ গত ২২ জুলাই আমার বোনের বাড়ির চারতলার ফ্লোর ভাড়া নেন। এ সময় তিনি ৩০ জুলাইয়ে মধ্যে অফিসের সকল কাগজ, জামানতের টাকাসহ দুই বছরের জন্য ভাড়া বাবদ চুক্তি করবেন বলেও জানান। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গত ২৬ জুলাই অফিসে তালা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন তিনি’
এ ছাড়া ঘটনার পর থেকে ফয়ছাল আহমেদের মোবাইল নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
সাভার উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার জানা মতে সমাজ সেবা কার্যালয়ে জাগ্রত ফাউন্ডেশন নামের বেসরকারি কোন সংস্থাটির (এনজিও) অনুমোদন নেই। এর রেজিষ্ট্রেশন কে বা কারা দিয়েছে তাও আমার জানা নেই। তবে এ সব প্রতারক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে সচেতন হয়ে টাকা-পয়সা লেনদেন করার অনুরোধ করছি।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ‘এমন ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত নই। তবে ভূক্তভোগীদের মধ্য থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতারক প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এমএস/এসি