আমেরিকাকে ৫ মিনিটেই নিশ্চিহ্ন করে দেবে রাশিয়া!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৯ শনিবার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হঠাৎ পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে দেশটির কোন কোন লক্ষ্যবস্তুতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পরমাণু বোমা ফেলা হবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। এমনকি মাত্র পাঁচ মিনিটেই আমেরিকাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘রাশিয়া ওয়ান’।
সম্প্রতি চ্যানেলটির প্রধান নিউজ শো'র অ্যাংকার দিমিত্রি কিসলিয়োভ আমেরিকার একটি মানচিত্র তুলে ধরে বেশ কিছু টার্গেটের নাম উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বলেন, পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে এসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে মস্কো। এসব টার্গেটের মধ্যে রয়েছে পেন্টাগন ও ক্যাম্প ডেভিড।
কিসলিয়োভ আরও বলেন, যুদ্ধ লাগলে পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে এই সমস্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে রাশিয়া।
হঠাৎ করে ওই সংবাদমাধ্যমটি এমন ভয়ঙ্কর তথ্য কেন সামনে আনল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তাহলে কি আমেরিকার সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের আশঙ্কা সত্যি!
যদিও সে সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন পর্যবেক্ষকদের অন্য একটি অংশ। তাদের দাবি, আমেরিকাকে চাপে রাখতেই রাশিয়ার এটা একটা কৌশল মাত্র।
অন্যদিকে, রুশ টিভি চ্যানেলের এই উপস্থাপক আরও যেসব লক্ষ্যবস্তুর নাম বলেন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- ফোর্ট উইলিয়াম এবং ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সামরিক বিমান ঘাঁটি- ম্যাকক্লেল্লান।
যদিও ১৯৯৮ সালে ফোর্ট উইলিয়াম বন্ধ হয়ে যায় এবং ম্যাকক্লেল্লানও ২০০১ সালের পর থেকে আর ব্যবহৃত হচ্ছে না বলে জানিয়েছে মার্কিন সূত্র।
ঠাণ্ডা যুদ্ধ বা স্নায়ু যুদ্ধের সময় আমেরিকা ও তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ঘোষণা দিয়েছেন তা নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজমান।
এনিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, আইএনএফ নামক ওই চুক্তি ১৮০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে পারে ওয়াশিংটন। তার ভাষায়, রাশিয়া এই চুক্তি লঙ্ঘন করা থেকে বিরত না হলে মার্কিন সরকার ১৮০ দিন পার হওয়ার পর স্থায়ীভাবে বেরিয়ে যাবে বলে হুমকি দেন তিনি।
এনএস/এএ