ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১

হেলিকপ্টারে উড়ে এসে ত্রাণ দিলেন জিএম কাদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৫ পিএম, ৩ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

বানভাসি মানুষদের ত্রাণ দিতে অবশেষে হেলিকপ্টারে উড়ে আসলেন লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। শনিবার দুপুর ১টায় সদর উপজেলার কাজীর চওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এমপিকে নিয়ে অবতরণ করে মেঘনা এভিয়েশনের চার আসনের হেলিকপ্টারটি।

পরে সেখান থেকে রাজপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে উপস্থিত বানভাসি মানুষের কাছে ত্রাণের চাল বিতরণ করেন জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান।পাঁচশ বানভাসি মানুষের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন তিনি। 

ত্রাণ বিতরণ শেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবছর এ অঞ্চলের মানুষ বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়।কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের কোন প্রস্তুতি ছিল না বলেই বানভাসিদের দুর্ভোগ ছিল চরমে। 

এসময় সরকারের প্রতি বানভাসিদের স্থায়ী তালিকা প্রস্তুত করতে ও আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু নিয়ে জিএম কাদের বলেন, ঢাকার মানুষ এখন মশা দেখলেই ভয় পাচ্ছেন। কারণ যেভাবে ডেঙ্গু জ্বরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, হাসপাতালগুলো কোন জায়গা দিতে পারছে না।যাদের দায়িত্ব অবহেলা ও গাফিলতির জন্য ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা নিধনে ব্যর্থ হয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে, জবাবদিহিতায় আনতে হবে বলে তিনি দাবি করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, বন্যা পরিস্তিতিতে বানভাসিরা যখন চরম কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন তখন তাদের এমপি দুর্গত এলাকায় দেখতে আসেননি, নেননি কোন খোঁজখবর। আর বানের পানি নেমে যাওয়ায় ১০ দিন পর আসলেন তাও মাত্র ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করতে। এনিয়ে বানভাসি মানুষেরা চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। অনেক বানভাসি পরিবার ও প্রতিবন্ধী মানুষ বাদ পড়েন তার এ ত্রাণ সহায়তা থেকে।

১০০ থেকে ১২০ টাকা নৌকা ও ভ্যান ভাড়া করে ত্রাণ নিতে আসা চরাঞ্চলের বানভাসিদের মাঝে ক্ষোভের তীব্রতা ছিল আরও বেশি। কাজ ফেলে এসে মাত্র ১০ কেজি চাল ত্রাণ পেলেন এমপির কাছ থেকে, যা তাদের প্রত্যাশার চেয়ে খুবই অপ্রতুল। 

তিস্তা পাড়ের চর চ্যাংড়ার বানভাসি এনামুল হক, হযরত আলী, ফারুক হোসনে, আফজাল হোসেনসহ অনেকে এ ত্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরতে অনীহা প্রকাশ করেন। 

এনএস/কেআই