সত্যিই ‘রাজসিক প্রত্যাবর্তন’!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১২ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৯ রবিবার
চতুর্থ দিনের খেলা এগিয়ে। লাঞ্চের আগে বেশ রয়ে সয়ে খেলতে দেখা গেল তাকে। নব্বই পেরুলে যা হয় আর কী! তবে লাঞ্চ শেষে 'নার্ভাস নাইন্টিজকে' পাত্তাই দিতে চাইলেন না স্টিভেন স্মিথ। প্রথম বলে সিঙ্গেল, তারপর ডট, তারপর...!
স্টুয়ার্ট ব্রাডকে দুর্দান্ত এক কাভার ড্রাইভে সীমানাছাড়া করে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে আকাশের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন স্মিথ। মনে মনে হয়তো বলছিলেন, কষ্ট আজ সার্থক হলো!
চলতি অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে কাব্যিক এক সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর আজ দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি পেলেন স্মিথ। গত ১৭ বছরে এমন কীর্তি গড়তে পারেননি কেউ। অ্যাশেজে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির দেখা মিলেছিল সর্বশেষ ২০০২ সালে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ম্যাথু হেইডেন গড়েছিলেন সেই কীর্তি। তারও ৫৫ বছর আগে অ্যাশেজ সিরিজে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের পক্ষে ডেনিস কম্পটন। সেই ১৯৪৭ সালে।
এদিকে কয়েক মাস আগেও নাকি স্মিথের মনে হচ্ছিল, আবারও ক্রিকেট খেলতে পারবো তো! বল ট্যাম্পারিং কাণ্ডে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ১২ মাস। ক্রিকেটই যার সব তেমন একটা মানুষের ১২টা মাস ক্রিকেটের বাহিরে থাকা যে কতোটা কষ্টের, সেটা সহজেই আন্দাজ করা যায়। ক্রিকেট খেলার আগ্রহও নাকি হারিয়ে ফেলেছিলেন স্মিথ। সেখান থেকেই এমন রাজসিক প্রত্যাবর্তন।
নিষেধাজ্ঞা পেরিয়ে ফিরেই প্রথম ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি। প্রথম ম্যাচে ১৪৪ আর দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪২ রান, ভাবা যায়! এটাকে রাজসিক প্রত্যাবর্তন ছাড়া আর কি বলা যায়! দুই ইনিংস মিলিয়ে চার মেরেছেন (১৬+১৪) ৩০টি, আর ছয় মাত্র ২টি।
স্মিথের সঙ্গে এদিন সেঞ্চুরি করেছেন আরও এক অস্ট্রেলিয়ান। ১১০ রান করে আউট হন ম্যাথু ওয়েড। এছাড়া ট্রাভিস হেড করেন ৫১ রান। মূলত এ তিন জনের ব্যাটে চড়েই দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৮৭ করে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ফলের ইংলিশদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৮ রান।
অজিদের দেয়া এই পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড।
এনএস/