ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫১ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১১:৫১ পিএম, ৪ আগস্ট ২০১৯ রবিবার
ফরিদপুরে গত ৭২ ঘন্টায় আরও ২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরই মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন ও ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে দুইজন। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬০ জনে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কামদা প্রসাদ সাহা জানান, গত ২০ জুলাই থেকে রোববার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬০ জন। এর মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন ৪৫ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে পাঁচ জনকে। বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০৯ জন ।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে ২৩ জন ফরিদপুরে নিজ বাড়িতে থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। ১১ জন রাজবাড়ী থেকে, ৬ জন মাদারীপুর থেকে, ২ জন গোপালগঞ্জ থেকে ১ জন ঝিনাইদহ থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন ১১৭ জন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মোহা. এনামুল হক জানান, গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন ৬০জন। ঢাকায় স্থনান্তর করা হয়েছে ১৪জনকে। মারা গেছেন একজন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫২ জন।
এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১০৯ জন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চারজন, চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ১৭ জন ও আরোগ্য সদনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৭ জন, ফরিদপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে দুইজন।
সিভিল সার্জন মোহা. এনামুল হক বলেন, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে আপাতত ডেঙ্গু রোগ সনাক্ত করার কীটস এর রয়েছে। তিনি বলেন, তবে বিভিন্ন সুপারিশের কারনে কীটস এর অপব্যবহার হচ্ছে।
তিনি বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শের বাইরে গত শনিবার রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের সুপারিশে মোট ৪২ জনের রক্ত পরীক্ষা করে মাত্র একজন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা গেছে। এভাবে কীটস নষ্ট হতে থাকলে সংকটে পড়তে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ডেঙ্গু সনাক্তকরণ পরীক্ষা যাতে করা না হয় সে ব্যাপারে তিনি সকল মহলের সহযোগিতা করেন।
কেআই/