ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ১২ ১৪৩১

ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৩৭ এএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১১:২৬ এএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

ময়মনসিংহের চরপুলিয়ামারি ও ফুলবাড়ীয়ায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী জনি মিয়া (২৬) ও গণধর্ষণ মামলার আসামি জহিরুল ইসলাম (২০) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।

রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরতলীর চরপুলিয়ামারী ও রাত আড়াইটায় ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পার্টিরা কালাদহ ঈদগাহ মাঠ এলাকায় পৃথকভাবে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ জানান, ডিবি পুলিশের একটি টিম কোতোয়ালী থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে গোপন সূত্রে সংবাদ পায় শহরতলীর চরপুলিয়ামারী এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী অবস্থান করছে। পরে ওই সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের টিম তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করলে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি ও ঢিল মারতে থাকে। পরে পুলিশ সরকারি সম্পদ ও আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের ১৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। 

একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। এ সময় জনি মিয়া (২৬) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী যুবক ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন ও ১টি ষ্টিলের চাকু উদ্ধার করা হয়। নিহত জনির বিরুদ্ধে ৩ টি মাদক মামলাসহ ১১ টিরও অধিক মামলা রয়েছে। 

অন্যদিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলার গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি জহিরুল ইসলাম (২০) ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। গত ৩ আগস্ট রাতে উপজেলার পলাশতলী এলাকায় ১৬ বছরের এক কিশোরীকে তিনজন মিলে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। এ সময় ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। 

পরে এ ঘটনায় ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর গ্রেফতার অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার পার্টিরা কালাদহ ঈদগাহ মাঠের সামনে যায় ডিবি পুলিশ। তখন ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। 

পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের গুলি ছুঁড়লে আসামিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় জহিরুল নামে একজন আসামিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহিরুলকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয়।