যে ৭ লক্ষণে বুঝবেন রক্তে সুগার বেড়েছে কিনা?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫১ এএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
জীবন যাপনের যে অবস্থা তাতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। এ রকম রোগীরা অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে পারেন না যে কখন রক্তে সুগার বেড়েছে বা কখন কমেছে। এছাড়া রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে কী ধরনের সমস্যা হয়, সে সম্পর্কে অনেকের ধারণাও কম।
ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা ক্রমশ মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। এই অসুখের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হল ওষুধ, নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া আর শরীরচর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ঠিকই, কিন্তু তা কোন ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব হয় না।
সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরে সুগার বেড়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো আগে চেনা প্রয়োজন। এই লক্ষণগুলো চিনতে পারলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া সম্ভব হবে। এবার জেনে নেওয়া যাক শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে ঠিক কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়...
১. খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি অন্যতম লক্ষণ। রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব হয়। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
২. চিকিৎসকদের মতে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কিডনির উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে শরীর থেকে সুগার বের করে দেওয়ার জন্য। সে জন্যই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়।
৩. ডায়েট বা ব্যায়াম না করেই হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
৪. হাত ও পায়ের আঙুল বা পুরো হাত অবশ বোধ করা রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ের পৌঁছে গেলে তখন এই লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৫. যখন শরীর থেকে অতিরিক্ত সুগার বাইরে বের করে দেয়ার জন্য কিডনিতে চাপ পড়ে, তখনই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। এই সময় কিডনি শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এর ফলে শরীরে পানির ঘাটতি হতে থাকে, তাই ঘন ঘন পানির তৃষ্ণা পায়।
৬. শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার কুপ্রভাব পড়ে আমাদের দৃষ্টিশক্তির উপরেও। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
৭. শরীরের কোন অংশ কেটে বা ছিড়ে গেলে তা না শুকানো এবং শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগার বিষয়টিও শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এএইচ/