সারাদেশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৫
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
আজ সোমবার সারাদেশে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’র (বিজিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছেন। কক্সবাজারের টেকনাফে দুইজন, ময়মনসিংহের চরপুলিয়ামারি ও ফুলবাড়ীয়ায় দুইজন এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সকলেই মাদক, ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করছে পুলিশ ও বিজিবি।
জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিব’র সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর দুই নম্বর সুইচ গেট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (২) মৃত হায়দার শরীফের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৭) ও টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং নয়া বাজার এলাকার মৃত জলিল আহমদের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩০)। ঘটনাস্থল থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, দুইটি কিরিচ ও চার রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিজিবি দাবি করে।
এছাড়া হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সোলেমান মিয়া (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার ডেউয়াতলী কালিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সোলেমান ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পুলিশের অভিযানে গুলি ছোঁড়েন। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তিনি নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ-ছয়টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানান চুনারুঘাট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন।
এদিকে, ময়মনসিংহের চরপুলিয়ামারি ও ফুলবাড়ীয়ায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা’র (ডিবি) সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে জনি মিয়া (২৬) ও জহিরুল ইসলাম (২০) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।
জনি মিয়া মাদক ব্যবসায়ী এবং জহিরুল গণধর্ষণ মামলার আসামী বলে দাবি করে পুলিশ।
চরপুলিয়ামারির ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গ্রাম হেরোইন ও ১টি ষ্টিলের চাকু উদ্ধার করা হয়। নিহত জনির বিরুদ্ধে ৩ টি মাদক মামলাসহ ১১ টিরও অধিক মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে ফুলবাড়ীয়ায় ঐ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে শুধু মাত্র হবিগঞ্জের কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের দাবি।
এমএস/