কোরবানির গুরুত্ব ও মর্যাদা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৮ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
নামাজ রোজার ন্যায় কোরবানিও পূর্ববর্তী নবীদের জন্য অবশ্য করণীয় ছিল। উম্মতে মুহাম্মদীর উপরও কোরবানি ওয়াজিব। প্রতিটি স্বচ্ছল মুসলমানকে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে। আল্লাহর নামে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে যে জানোয়ার জবেহ করা হয় তাকে কোরবানি বলা হয়।
কোরবানি সম্পর্কে মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআন শরীফে বলেন-
‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেয়া চতুষ্পদ জন্তু যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাক এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।’ (হজ্ব-৩৪)
‘এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎ কর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।’ (হজ্ব-৩৭)
কোরবানি সম্পর্কে হাদীস- হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলে করীম (সা.) বলেছেন, কোরবানির দিনে মানব সন্তানের কোন নেক কাজই আল্লাহর নিকটে তত প্রিয় যত প্রিয় রক্ত প্রবাহিত করা। অর্থাৎ কোরবানি করা। কোরবানির জানোয়ারগুলো, তাদের শিং পশম ও ক্ষুরসহ কিয়ামতের দিন কোরবানি দাতার পাল্লায় এনে দেয়া হবে। কোরবানির পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর নিকটে সম্মানিত স্থানে পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা আনন্দ চিত্তে কোরবানি করবে। (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ)
রাসূলে করীম (সা.) করেছেন, সামর্থ থাকতে যারা কোরবানি করে না, তারা যেন আমার ঈদগাহের কাছেও না আসে। (ইবনে মাযাহ)
কোরআনের বাণী ও হাদিস পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, কোরবানি মুসলিমদের জন্য কত গুরুত্ব বহন করে। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই করতে কোরবানি। যার জন্য আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে বান্দাকে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেন।
রাসূল (সা.) কোরবানিকে এতই গুরুত্ব দিয়েছেন যে, যারা কোরবানি করবে না তাদেরকে ঈদগা পর্যন্ত যেতে নিষেধ করে দিয়েছেন।
কিন্তু বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোরবানিকে করে ফেলেছে গোশত খাওয়ার উৎসবে, বিশাল পশু ক্রয় করে এলাকায় জানান দিচ্ছে নিজের বিশালত্ব, ফেইসবুকে পশুর ছবি শেয়ার করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
কিন্তু কোরবানি হচ্ছে মহান রবের হুকুমের কাছে নিজের আমিত্ব কর্তৃত্ব গর্ব অহঙ্কার ভুলে গিয়ে জীবনের সব কিছু তাঁর রাহে ব্যয় করার মাধ্যমে মনিবের সঙ্গে গোলামের নিবীড় সম্পর্ক গড়ে তোলার অতি উত্তম উপকরণ।
এএইচ/