কেন্দ্রকে একের পর এক টুইট গৃহবন্দি মেহবুবা’র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
ভারত শাসিত কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বারবার প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে৷ আশঙ্কাটা শেষমেশ সত্যিই হল। কাশ্মীরের জনগণের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছে ভারতের পার্লামেন্ট।
রোববার মধ্যরাতে হঠাত করেই গৃহবন্দি করা হয় দুবারের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে। শুধু তাই নয়, গৃহবন্দি করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক নেতাকে।
উপত্যকা জুড়ে জারি করা হল ১৪৪ ধারা। অনির্দিষ্ট কালের জন্য জারি করা হয়েছে কার্ফু। একদিকে যেখানে এই পরিস্থিতি, অন্যদিকে সেখানেই কেন্দ্রের ঘন ঘন বৈঠক৷
টানাপোড়েনের রাত কাটতে না কাটতেই সোমবার রাজ্যসভায় আর্টিকল ৩৭০ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর বিরোধিতায় রাজ্যসভায় চলে তুমুল হাই হট্টগোল। হই হট্টগোলের মধ্যে খুব অল্প সময়ের বিল পাস হয়ে যায়। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন রাষ্ট্রপতি।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এই বিলের মাধ্যমে কাশ্মীরকে পুনর্গঠন করা হবে। তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে কাশ্মীরকে। ১. লাদাখ, ২. জম্মু ও ৩. কাশ্মীর।
জম্মু-কাশ্মীর আর আলাদা করে রাজ্যের মর্যাদা পাচ্ছে না। জম্মু কাশ্মীরে এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। লাদাখকে জম্মু কাশ্মীর থেকে আলাদা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে লাদাখে বিধানসভাবিহীন।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রতি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক তোপ দাগছেন মেহবুবা মুফতি৷ সোমবার সকালে এক ঘণ্টার মধ্যে পর পর সাতটি টুইট করেছেন তিনি৷
প্রথম টুইটে তার দাবি, এই দিনটি ভারতের গণতন্ত্রে সবথেকে কালো দিন৷ ৩৭০ ধারা নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অবৈধ এবং অসাংবিধানিক৷ আরেকটি টুইটে তিনি তোপ দেগে লেখেন, ভারত সরকার কী করতে চাইছে তা স্পষ্ট৷ ভারতে একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যের ‘ডেমোগ্রাফি’ বদলে ফেলতে চাইছে তারা৷
তাকে গৃহবন্দি করা নিয়ে তিনি লেখেন, তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে৷ এরপর তিনি সবার সঙ্গে আদৌ আর যোগাযোগ রাখতে পারবেন কি না সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ সব মিলিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি কাশ্মীরের৷