থানায় রাতভর গণধর্ষণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৪:৫৬ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
২১ বছরের এক তরুণীকে থানায় ধরে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওসিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতে খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় এ ঘটনা ঘটে বলে রোববার আদালতে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজেই।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে রোববার রাতেই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সময় না থাকায় সোমবার সকালে আবারও তাকে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, গণধর্ষণের ঘটনাটি আড়াল করতে মোটা অংকের টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন অভিযুক্ত ওসি ওসমান গনি পাঠান। কিন্তু তারা এ অন্যায়ের বিচার চান।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ওই তরুণী গত ২ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ট্রেনে করে যশোর থেকে খুলনায় এসে পৌঁছান। এ সময় তাকে সন্দেহজনক হিসেবে ধরে থানায় নিয়ে যায় রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা।
জিআরপি থানায় গভীর রাতে প্রথমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওসি ওসমান গনি পাঠান। পরে পালাক্রমে আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গণধর্ষণ করেন। পরদিন শনিবার ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটকের কথা বলে একটি মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে জিআরপি পুলিশ।
আদালতে তোলার পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে থানায় পালাক্রমে গণধর্ষণের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন ওই তরুণী। বর্ণনা শুনে ভুক্তভোগী নারীকে এ সংক্রান্ত ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত ওসি ওসমান গনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি সত্য নয় বলে দাবি করেন। টাকা দিয়ে ঘটনাটি আড়াল করার অভিযোগের বিষয়টিও উড়িয়ে দেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
সোমবার সকালে ওসমান গনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই তরুণীকে মহিলা এসআই ও মহিলা কনস্টেবল ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছিল। রাতে থানায় তিনজন নারী পুলিশসহ মোট ৮ জন পুলিশ সদস্য পাহারায় নিযুক্ত থাকে। মাদক মামলা থেকে বাঁচতেই তরুণী এখন ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
এনএস/আরকে