ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কাশ্মীর ইস্যু জাতিসংঘকে জানাল ভারত,পাল্টা হুমকি পাকিস্তানের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

অধিকৃত কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদকরণ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য চীন,ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকাকে জানিয়েছে ভারত। তবে মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। 

পাক সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তারা। এ ব্যাপারে আইনি রাস্তার পথেই হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান।  

সোমবার পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে পদক্ষেপটা নিলো,তা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মের পরিপন্থী। এককভাবে ভারত কাশ্মীরের মর্যাদা বদলাতে পারে না। তাদের এই  সিদ্ধান্তকে মেনে নেবে না জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ এবং পাকিস্তান।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটা আন্তর্জাতিক বিতর্ক রয়েছে। পাকিস্তান যেহেতু এই বিতর্কের একটা অংশ, এই প্রক্রিয়া ঠেকাতে যা যা আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন তারা তাই-ই করবে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে পাক সংসদের যৌথ অধিবেশনে আলোচনার সিদ্ধান্তও নিয়েছে পাকিস্তান।

এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর চেয়ারম্যান তথা বিরোধী নেতা শাহবাজ শরিফ বলেন, মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ-বিরোধী। এটা আসাংবিধানিক। এক প্রকার দেশদ্রোহ। যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” 

অন্য দিকে, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিপুত্র বিলওয়াল ভুট্টোও মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার কী চাইছে, ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি ঘটিয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।

এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। এই বৈঠককে ঘিরে এ দিন সকাল থেকেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। কী সিদ্ধান্ত হতে চলেছে বৈঠকে সে দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হল রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির পর। 

বিবৃততে বলা হয়, ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে দিয়ে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জম্মু-কাশ্মীরকে পুনর্গঠিত করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হল। একটি জম্মু-কাশ্মীর  অন্যটি লাদাখ। বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় ভারতের সংসদ। (সূত্র-আনন্দবাজার)

এনএস/কেআই