‘ছোট্ট দীঘিকে থাপ্পড় মারতেন মা’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৪ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
প্রার্থনা ফার্দিন দীঘি। তবে সবার কাছে শুধু দীঘি নামেই পরিচিত। অভিনয় দিয়ে সবার নজরকাড়া এ অভিনয় শিল্পী সম্প্রতি একুশে টিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তার অভিনয় জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
দীঘি বলেন, চলচ্চিত্র আর বিজ্ঞাপনের কাজের কিছুটা পার্থক্য আছে। যার ফলে ছোট্ট দীঘিকে মা অনেক কৌশলে স্ক্রিপ্ট মুখস্ত করাতেন। স্ক্রিপ্টের সঙ্গে বাস্তব জীবন মিলিয়ে হাতে ধরে অভিনয় শেখাতেন। অনেক সময় অভিনয়ে কাঁদতে হতো কিন্তু পারতাম না। মা এসময় থাপ্পড় মারতো। ফলে কেঁদে দিতাম। এভাবেই অভিনয়ের প্রথম সময়গুলো কেটেছে।
পরিবারই অভিনয়ের জায়গা হওয়ায় কাজটা অনেক সহজ হতো। ছোট হওয়ায় কি করেছি সে বিষয়ে তেমন ধারণাই ছিল না বলেও জানান দীঘি।
২০০৫ সালে গ্রামীন ফোনের এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠেন এ অভিনেত্রী। এরপর অভিষেক হয় চলচ্চিত্রাঙ্গনে। ওই বছরই ‘কাবুলী ওয়ালা’ ছবি দিয়ে নাম লেখান বড় পর্দায়। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে যেতে হয়নি তাকে।
প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী পুরুস্কার পান। এরপর একে একে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেন দীঘি। চাচ্চু, এক টাকার বউ, চাচ্চু আমার চাচ্চু, দাদিমা, বাবা আমার বাবা প্রভূতি ছবিতে অভিনয় করে সবার নজর কাড়েন এক সময়ের ছোট্ট এ অভিনেত্রী।
তার সবশেষ ছবি ‘লীলা মন্থন’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে।তার অভিনীত প্রত্যেকটি ছবিই ব্যবসা সফল হয়েছে।
২০১১ সালে মা অভিনেত্রী দোয়েল মারা যাওয়ার পর এটাই ছিল তার সবশেষ ছবি। এরপর গুঞ্জন উঠেছিল নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে আসছেন দীঘি। তবে সেটা এখনো বাস্তবতার মুখ দেখেনি। তবে সময় পরিবর্তন হয়েছে। সেই ছোট্ট দীঘি আর এখন ছোট্ট নেই। চলতি বছর তিনি এসএসসি পাস করেছেন। যদিও ফলাফল ততোটা কাঙ্খিত নয়। তবে এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই দীঘি ও তার পরিবারের।
আই/