ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কাশ্মীর ইস্যুতে যৌথ অধিবেশন ডেকেছে পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৭ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১০:৫৮ পিএম, ৫ আগস্ট ২০১৯ সোমবার

৬৯ বছর পর সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীরকে বিভক্ত করে ফেলেছে ভারত। ভারতের এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তান সরকার, এমনকি দেশটির বিরোধী দলীয় নেতারাও। ইসলাবাদ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভারত সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়ায় যাচ্ছে তারা।

সোমবার পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আইনের পরিপন্থী। এককভাবে ভারত কাশ্মীরের মর্যাদা বদলাতে পারে না। তাদের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেবে না জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ এবং পাকিস্তান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটা আন্তর্জাতিক বিতর্ক রয়েছে। পাকিস্তান যেহেতু এই বিতর্কের একটা অংশ,এই প্রক্রিয়া ঠেকাতে যে আইনি পদক্ষেপের প্রয়োজন তার সবই করবে ইসলামাবাদ।

পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে,‘কাশ্মীরের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং নৈতিক বিকাশের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’

এর ফলে কাশ্মীর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্তের দিকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সংসদের যৌথ অধিবেশন ডেকেছে পাকিস্তান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ডন।

এর আগে সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক বিবৃতিতে বলেন, ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করে দিয়ে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হল জম্মু-কাশ্মীরের। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জম্মু-কাশ্মীরকে পুনর্গঠিত করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হল। একটি জম্মু-কাশ্মীর,অন্যটি লাদাখ। পরে বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয় ভারতের সংসদ।

এনএস/কেআই