ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

গর্ভবতী অবস্থায় প্রথম মিস ইন্ডিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৩৬ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

সুস্মিতা সেন, লারা দত্ত অথবা ঐশ্বরিয়া রাই- প্রত্যেকেই বুদ্ধি আর সৌন্দর্যের সংমিশ্রণে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সম্মানজনক ‘মিস ইন্ডিয়ার’ খেতাব। কিন্তু তাদেরও আগে এই সম্মানের খেতাব মাথায় উঠেছিল এক কলকাতার তারকার। যার নাম এস্টার ভিক্টোরিয়া অ্যাব্রাহাম। পোশাকি নাম প্রমীলা।

১৯৪৭-এ তিনিই প্রথম, যিনি এই খেতাবটি জেতেন। ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী এবং প্রখ্যাত রাজনৈতিক মোরারজি দেশাইয়ের থেকে এই খেতাব গ্রহণ করেছিলেন প্রমীলা।

তার জন্ম হয়েছিল কলকাতার এক বাগদাদি ইহুদি পরিবারে। কিন্তু রক্ষণশীল পরিবারে জন্ম নেওয়ায় নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ ছিল না তার। অথচ ইচ্ছা ছিল প্রচুর। তাইতো মাত্র ১৭ বছরেই বাড়ি ছাড়েন তিনি। পাড়ি দেন মুম্বাই। সেখানে পারস্যের একটি ভ্রাম্যমান থিয়েটার দলের সঙ্গে যুক্ত হন। তার কাজ ছিল প্রোজেক্টর পরিবর্তনের মাঝে ১৫ মিনিটের নাচের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দর্শকের মনোরঞ্জন করা।

শুধুমাত্র এই কাজ করার জন্যই যে তার জন্ম হয়নি তা ওই ছোট বয়সেই উপলব্ধি করেছিলেন প্রমীলা। শুরু করেন বড় পর্দায় অভিনয়। স্টান্ট অভিনেতা হিসেবেও তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন। ‘উলটি গঙ্গা’, ‘জঙ্গল কিং’ প্রমুখ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি।

শুধু কি তাই? সিনেমা জগতে তিনিই প্রথম মহিলা প্রযোজক। প্রযোজনা করেছেন প্রায় ১৬টিরও বেশি সিনেমা। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম ছিল ‘সিল্ভার প্রোডাকশন’।

আরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- ৩১ বছর বয়সে তিনি যখন এই খেতাব জেতেন তখন তিনি গর্ভবতী। এ প্রসঙ্গে পরে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগেকার দিনে এই সমস্ত প্রতিযোগীতাগুলো মূলত প্রতিযোগীদের মুখের সৌন্দর্যের নিরিখে নম্বর দেওয়া হত তাই এ ক্ষেত্রে তার কোনও অসুবিধা হয়নি।

বিশ বছর পর ১৯৬৭ তে তার মেয়ে জাহানও ‘মিস ইন্ডিয়া’র মুকুট মাথায় পরেন। তারা ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনও মা–মেয়ে দুজনেই এই খেতাবের অধিকারী হননি।
তার ছোট ছেলে হায়দার আলি একজন লেখক। বিখ্যাত সিনেমা ‘যোধা আকবর’র চিত্রনাট্য তারই লেখা।

প্রমিলার অভিনীত শেষ সিনেমা ২০০৬-এ মুক্তিপ্রাপ্ত অমল পালেকর পরিচালিত ‘থাং’। ২০০৬-এর ১৯ অগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ভারতসুন্দরী।

সূত্র : আনন্দবাজার

এসএ/