সিন্ডিকেটের কবলে জার্মান আওয়ামী লীগের সম্মেলন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৩৫ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার
জার্মান আওয়ামী লীগের সম্মেলন সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্ঠিত হওয়া সম্মেলনে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে এই সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের এ নিয়ে জানানো হলেও সুফল আসেনি বলে অভিযোগ করেছেন তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন, নামে সম্মেলন হলেও সেখানে একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে।
এছাড়াও অভিযোগ করেছেন জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূইয়া বকুল। এ নিয়ে নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
`আমি মোবারক আলী ভূইয়া বকুল, জার্মান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সকল দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে আমার সমস্ত নেতা কর্মীদের নিয়ে ২৭ জুলাই জার্মান আওয়ামী লীগের সন্মেলনে যোগ দেই, তার আগে এই সম্মেলনের সবকিছু মধ্যে আমাদের উপেক্ষা করা হয়েছে, তারপরে আজ বলতে হয় এই সম্মেলন করার আগে সকল বৈঠকে আমি আমার মতামত ব্যক্ত করেছিলাম কিন্ত আমাদের মতামতের কোনো প্রাধান্য দেয়া হয়নি, তারপরও আমি আমার সকল কিছু বাদ দিয়ে, এমন কি আমার কর্মীদের চাওয়া বাদ দিয়ে আমি নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেই। তারপরও আমি চেয়েছিলাম ঐক্যমতের কমিটি যাতে দৃশ্যমান হয়, কিন্তু বাস্তবিকভাবে তা হয়নি।
সবখানেই তাদের ইচ্ছামত সবকিছু হয়েছে, সেখানে একতরফা অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করে। সন্মানিত প্রধান অতিথি "কর্নেল অবঃ ফারুক খাঁন"( প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী পরিষদ) এবং সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক এম. নজরুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমানকে অনুপস্থিত রেখে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন সম্পন্ন করে।
কাউন্সিলর নির্ণয়ে অস্বচ্ছতা ও ও ছাত্রলীগের ছেলেদের কাউন্সিল করাসহ নির্বাচনে অনিয়মের কারণে বার্লিন, নর্দরাইন ভেস্টফালেন সহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা নেতা কর্মীরা ও নির্বাচনে প্রার্থীগণ নির্বাচন বয়কট করেন। এরই প্রেক্ষিতে সন্মানিত প্রেসিডিয়াম সদস্য "জনাব ফারুক খাঁন" একটি গ্ৰুপের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার কাছে এর সত্যতা জানতে চাইলে আমি এর সত্যতা ব্যাখ্যা করি এবং তিনি সম্মেলন বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
শুনেছি আমাকেও বিতর্কিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, আমি এই ঘটনার পরেই বলেছিলাম এই কমিটির সদস্যও আমি হতে রাজি নই। আমি এ পদ প্রত্যাখান করছি এবং একটি ঐক্যমতের জার্মানি আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করছি।
নির্বাচন পরবর্তী রাতে হোটেল কক্ষে সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক এবং অবৈধভাবে কমিটির অনুমোদনের সাক্ষর নেয়। বিপদগামী এই গ্ৰুপটি ইউরোপ থেকে আসা অতিথিদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং মারাত্মকভাবে আহত করে।
আমি এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি আমার সকল নেতাকর্মীদের এ শোকের মাসে শান্ত থেকে "জননেত্রী শেখ হাসিনার" পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
টিআর/