ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ডেঙ্গু নিধনে ছাড়া হবে ‘মসকুইটো ফিশ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৬ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১৮ পিএম, ৬ আগস্ট ২০১৯ মঙ্গলবার

চলমান ভয়াবহ হয়ে ওঠা ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় এডিস মশার বাচ্চা বা লার্ভা ধ্বংস করার নতুন উপায় খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের ড্রেনে আট হাজার মসকুইটো ফিশ (মশা খেকো মাছ) অবমুক্ত করা হয়েছে।

এদিন বাকৃবি'র মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান। পরে তার নেতৃত্বেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ড্রেনে অবমুক্ত করা হয় ওই মশাখেকো মাছ।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু। আগামী বৃহস্পতিবার এই মশা খেকো মাছ শহরের বিভিন্ন ড্রেনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

এদিকে গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ বছর আগে মসকুইটো ফিশ অ্যাকুরিয়াম ফিস হিসেবে বাংলাদেশে আসে। পরে এটি বিভিন্ন মুক্ত জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ড্রেন ও নর্দমার নোংরা পানিতে মশা খেকো মাছের সন্ধান পাই। এসব মাছ মশার ডিম খাবার হিসেবে গ্রহণ করে।

গবেষণায় পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, মশার বাচ্চা বা লার্ভা ভক্ষমে সক্ষম এমন দেশীয় মাছ যেমন খলিশা, দারকিনা, জেব্রা ফিশ নর্দমার নোংরা পানিতে বেশিদিন বাঁচতে পারে না। অন্যদিকে প্রচণ্ড নোংরা পনিতেও অনায়েসেই জীবনযাপন করতে পারে মসকুইটো ফিশ। তাই নর্দমার মশা নিধনে এই মাছই সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

একই সঙ্গে এই মশা খেকো মাছ ড্রেনে ছাড়লে মশা নিধন করা সম্ভব বলেই জানিয়েছেন বাকৃবি গবেষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, দেশে চলমান ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে নতুন নতুন উপায় শিখতে হবে। এক্ষেত্রে মশা নিধনের বায়োলজিক্যাল পদ্ধতিটি ব্যবহার করা যায়। যেটা হলো- মাছ দিয়ে মশা ভক্ষণ করানোর মাধ্যমে মশার প্রকোপ কমানো।

মৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. মে. জসিমউদ্দিন খান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এনএস/কেআই