ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

জাতীয় জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয় আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ৭ আগস্ট ২০১৯ বুধবার

৭ আগস্ট, ১৯১৩ সাল। এদিন উদ্বোধন করা হয় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। রাজধানী ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত দেশের প্রধান জাদুঘর এটি। ৭ আগষ্ট আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলেও এটি ২০ মার্চ, ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর এটিকে জাতীয় জাদুঘরের মর্যাদা দেয়া হয়।

জাদুঘরটি শাহবাগ মোড়ের সন্নিকটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রমনা পার্ক ও চারুকলা ইন্সটিটিউটের পাশে অবস্থিত। এখানে নৃতত্ব, চারুকলা, ইতিহাস, প্রকৃতি এবং আধুনিক ও বিশ্ব-সভ্যতা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি বিষয়ে আলাদা বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীকক্ষ (গ্যালারি) রয়েছে। এছাড়া এখানে একটি সংরক্ষণাগার, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, আর্কাইভ, সিনেস্কেইপ এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনালয় রয়েছে।

১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১ নভেম্বর ‘দ্য ঢাকা নিউজ’ পত্রিকায় প্রথম এদেশে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ মার্চ তৎকালীন সচিবালয় (বর্তমান ঢাকা মেডিক্যাল)-এ দুই হাজার রুপি তহবিল নিয়ে জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলার তৎকালীন গভর্নর লর্ড কারমাইকেল সচিবালয়ের একটি কক্ষে এই ঢাকা জাদুঘর উদ্বোধন করেন। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ আগস্ট ঢাকা জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়।

১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ আগস্ট সর্বসাধারণের জন্য জাদুঘর উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ঢাকা জাদুঘরের প্রথম অস্থায়ী তথা সূচনাকালীন কিউরেটর বা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন এন গুপ্ত। প্রথম কিউরেটর নলিনীকান্ত ভট্টশালী ১৯১৪ থেকে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটিশ সরকার এদেশে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে। শাহবাগ এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জন্য একটি অত্যাধুনিক বৃহদায়তন ভবনের উদ্বোধন করা হয় ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর। আট একর জমির ওপর নির্মিত জাতীয় জাদুঘর স্থাপনার নকশা করেছেন দেশের প্রখ্যাত স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।

এসএ/