‘কাশ্মীরে যাও জমি কেনো, সুন্দরীদের বিয়ে কর’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২১ পিএম, ৭ আগস্ট ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৬:৫৩ পিএম, ৭ আগস্ট ২০১৯ বুধবার
সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত করার পর আনন্দে ভাসছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতা-কর্মীরা এখন ভূ-স্বর্গ খ্যাত উপত্যকায় জমি কেনা এবং সুন্দরী কাশ্মীরি তরুণীদের বিয়ে করার স্বপ্ন দেখতেও শুরু করেছেন।
নিজেদের গোপন এই আকাঙ্খার কথা প্রকাশও করেছেন ক্ষমতাসীনদের কোনও কোনও নেতা। এদেরই একজন বিজেপি নেতা বিক্রম সাইনি। তিনি প্রকাশ্যে দলের অবিবাহিত কর্মীদের প্রতি এই বলে আহ্বান জানিয়েছেন যে- কাশ্মীরে যাও, সুন্দরীদের বিয়ে কর। এমনকি সেখানে জমি কেনারও পরামর্শ দিয়েছনে বিক্রম।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ধারা ৩৭০ বাতিল করার পরদিনই কাশ্মীরের মুজাফফরনগরে এই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা বিক্রম সাইনি।
তিনি বলেন, ‘মোদিজীকে ধন্যবাদ। তিনি আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছেন। এ আনন্দে ড্রাম বাজাচ্ছে গোটা ভারত। বিজেপির অবিবাহিত কর্মীরা, যারা এতদিন ধরে কাশ্মীরের সুন্দরী নারীদের বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছে, তারা এখন নির্ভয়ে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। তোমরা সবাই কাশ্মীরে যাও এবং সেখানকার সুন্দরী তরুণীদের বিয়ে কর। সেইসঙ্গে সেখানকার জমাজমির মালিক হও।’
বিজেপির এই নেতা আরও বলেন, দেশের মুসলিম যুবকদেরও খুশি হওয়া উচিত। কারণ তারাও এখন কোন শঙ্কা ছাড়াই কাশ্মীরের সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে।
তার এমন কুৎসিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে রীতিমত সমালোচনার ঝড় উঠেছে গোটা ভারতেই। তবে বিক্রম সাইনির জন্য এ ধরনের অশ্লীল মন্তব্য কোনও নতুন বিষয় নয়।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি এক জনসভায় বলেছিলেন, ‘আমি আমার বউকে আরও বেশি করে বাচ্চাকাচ্চা পয়দা করতে বলেছি, যাতে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বউ এতে রাজি হয়নি। সে বলেছে, আমাদের দুই সন্তানই যথেষ্ট।’
তবে কেবল বিজেপি নয়, কাশ্মীর নিয়ে এ ধরনের লজ্জাষ্কর মন্তব্য করেছে বজরং দল ও হিন্দু যুব বাহিনীর মত কট্টরপন্থি হিন্দু দলগুলো। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের খবরে এসব দলের নেতা কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই তারা কাশ্মীরে গিয়ে জমাজমি ক্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ভূস্বর্গ হিসেবে কাশ্মীরের যেমন খ্যাতি তেমনি এই উপত্যকার তরুণী ও ললনাদের রূপ ও গুণের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বলা হয়ে থাকে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই অঞ্চলটির মেয়েরাই সবচেয়ে সুন্দরী। কেবল এশিয়া নয়- সাগরের মত নীল চোখ, আপেলের মত গায়ের রং আর মিষ্টি হাসি এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের কল্যাণে সবার মন জয় করে নিয়েছে কাশ্মীরি নারীরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এনএস/আরকে